আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গোটা দেশে প্রায় ৩ লক্ষ শিশু ভি'ক্ষাবৃত্তি করেই খাদ্যসংগ্রহ করে। দু’বেলা খাবার জোগার করতেই যখন না'ভিশ্বা'স ওঠার জোগার, সেখানে স্কুলে যাওয়া কিংবা পড়াশুনো করা, তাদের কাছে বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ধরনের পথশিশুদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন রাজস্থানের এক পুলিশকর্মী। ওই রাজ্যের চুরু জেলায় তিনি তৈরি করে দিয়েছেন এমন একটি স্কুল, যেখানে পড়ানো হয় শুধুমাত্র পথশিশুদেরই।
কয়েকবছর আগে ধর্মবীর জাখর নামে ওই পুলিশকর্মী খেয়াল করেছিলেন, তাঁরা থানার কাছেই ভি'ক্ষা করছে কয়েকটি পথশিশু। দৃ'শ্যটা নাড়া দিয়েছিল তাঁকে। ধর্মবীর বলেন, ‘ওদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, তারা সকলেই অনা'থ। তাই পেটের জ্বা'লাই ভি'ক্ষাই তাদের একমাত্র পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম, ওরা মিথ্যা বলছে। খোঁজ নিতে ওদের ব'স্তিতে গিয়ে জানতে পারি, ওরা সত্যি কথাই বলেছে। তখনই আমার মনে হয়, যদি ওদের পড়াশুনো শেখানো না যায়, তাহলে গোটা জীবনটাই ওরা ভি'ক্ষা করে কাটিয়ে দেবে। তাই অবসর থেকে রোজ ঘণ্টাখানেক সময় বের করে ওদের পড়াতে শুরু করি।’
ক্র'মেই বাড়তে থাকে পড়ুয়ার সংখ্যা। ২০১৬ সালে ‘আপনি পাঠশালা’ নামে একটি স্কুলই তৈরি করে ফেলেন ধর্মবীর। এখনও পর্যন্ত ৪৫০ জন পড়ুয়া লেখাপড়া করে ওই বিদ্যালয়ে। শুধু পড়ানোই নয়, লেখাপড়ার জন্য বই দেওয়া ছাড়াও দু’বেলা তাদের খাবারের ব্যবস্থাও করে এই স্কুল। ধর্মবীর বলেছেন, ‘এই শিশুদের স্কুল পর্যন্ত টে'নে আ'নাটা সহজ ছিল না। ওদের পড়াশুনোয় বিশেষ আগ্রহ ছিল না। তবে ওদের যখন বোঝাই যে লেখাপড়া করলে জীবনে ভি'ক্ষা করে খেতে হবে না, ওরা উন্নত জীবনযাপন করতে পারবে, তখন ওদের মধ্যে আস্তে আস্তে উৎসাহ জাগে।’
কী করে চলে ধর্মবীরের স্কুল? তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফে কোনও অনুদান কিংবা সাহায্য তিনি পান না। পুরো অর্থটাই আসে মানবিক কিছু লোকজনের দেওয়া অনুদান থেকে। তিনি মনে করেন, যদি এই শিশুদের ঠিকমতো লেখাপড়া শেখানো যায়, তাহলে সমাজগঠনে ওরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।