আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাঝরাতে চার বছরের ছেলে দেখেছিল, মাকে কু'পি'য়ে হ'ত্যা করছে বাবা। মা আ'র্ত'না'দ করছে আর ছেলেটি ভ'য়ে কাঁপছিল। ওই রাতে মায়ের পেটে বাবাকে চামচ ঢু'কি'য়ে দিতে দেখেছে সে। তারপর উইকেট দিয়ে শুরু মা'রধ'র।
কিছুক্ষণের মধ্যে মা সড়াশব্দ ব'ন্ধ করে দেয়। আর বাড়ির পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায় বাবা। তখন চুপ থাকলেও পরে ঘটনার কথা সবাইকে জানায় ছোট্ট ছেলেটি। সে সাক্ষ্য দিয়েছিল আদালতেও। মূলত সেই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ডানকুনির আকডাঙার বাসিন্দা, স্ত্রীকে হ'ত্যা মামলায় দো'ষী সা'ব্য'স্ত হয়।
আবুল শেখকে যা'বজ্জী'বন সশ্রম কা'রাদ'ণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল শনিবার শ্রীরামপুর আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মহানন্দ দাস ওই সা'জা শোনান আবুলকে। শুক্রবার তাকে দো'ষী সা'ব্য'স্ত করা হয়েছিল।
সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, এ মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার মধ্যে দো'ষীর ছোট্ট ছেলের সাক্ষ্য মামলার নি'ষ্প'ত্তিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
স্ত্রীকে হ'ত্যার দা'য়ে যা'বজ্জী'বন কা'রাদ'ণ্ডের পাশাপাশি দো'ষীকে ৫০ হাজার টাকা জ'রি'মা'না, অ'না'দা'য়ে আরো পাঁচ বছর সশ্রম কা'রাদ'ণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া, নারী নি'র্যা'তনের দা'য়ে তিন বছর কা'রাদ'ণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জ'রিমা'না হয়েছে তার। অ'না'দা'য়ে আরো দুই বছর কা'রাবা'স।