আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টারে অনেক পেঁয়াজের ছবি। আর তার নীচে লেখা, 'আগে কাটতে গেলে চোখে জল আসত। এখন দাম শুনলেই!' কারণ, পেঁয়াজের আগুন দাম বাজারে। আশি টাকা কেজি!
আলু, বেগুন, পটল সহ অন্য সবজিরও চড়া দাম বাজারে। এহেন পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে টাস্ক ফোর্স গঠন করল রাজ্য সরকার। মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা, মুখ্য সচিব রাজীবা সিনহা থেকে শুরু করে সরকারের শীর্ষ আমলারা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। ফঁড়েদের ঠেকাতেও কড়া ব্যবস্থার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্টকে দায়িত্ব দিয়েছেন এই বিষয়টি দেখার জন্য।
সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "আলু যা আছে তা পর্যাপ্ত। আলুর কোনও ঘাটতি হবে না। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চলে যাবে। তবে পেঁয়াজ নিয়ে সমস্যা আছে।" শুধু পেঁয়াজ কেন, শীতকালীন সবজিরও দাম আগুন। পেঁয়াজকলি থেকে ফুলকপি, বাঁধাকপি-প্রায় প্রতিটি আনাজই মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, দাম কমানোর জন্য কাল থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে প্রশাসন।
সরকারের চিন্তা বাড়িয়েছে বুলবুল। এদিনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট ১৫ লক্ষ হেক্টর জমির ধান এবং অন্যান্য ফসল একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিচ্ছু অবশিষ্ট নেই। ফলে এই বিরাট জমির ফসলের ঘাটতি থাকবেই। নতুন করে ফসল ফলানো এখনই সম্ভব নয়।
যদিও অনেকের মতে, কৃষিপ্রধান অন্যান্য জেলাগুলি যেমন হুগলি, বর্ধমান, নদিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে বুলবুলের তেমন প্রভাব পড়েনি। সেখানে ফলন বেশি হলে সার্বিক ভাবে তবু ঘাটতি সামাল দেওয়া যাবে।
তবে শিল্পমহলের এক কর্তা এ দিন বলেন, ফঁড়ে তথা মধ্যসত্বভোগীদের উপর রাগ করে লাভ নেই। এটা ঠিক যে তাদের জন্য বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এও ঠিক যে তারাই চাষীদের কাছ থেকে উত্পাদিত কৃষি পণ্য বাজারে পৌঁছে দেয়।
সরকার এমন কোনও পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারেনি যে রাতারাতি ফঁড়েরা বাজার থেকে উধাও হয়ে যাবে। তাছাড়া বাজারে জিনিসপত্রের দাম চাহিদা ও জোগানোর উপরেও নির্ভরশীল। সূত্র : ডিএনএ বাংলা