আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীরি নারীদেরকে গ'ণহা'রে ধ'র্ষ'ণে মেতেছে ভারতীয় বাহিনী। ভারতীয় দখলদারিত্বের বি'রু'দ্ধে প্রতিবাদী কাশ্মীরিদের মনোবল ভা'ঙ'তে এবং প্র'তিশো'ধ নিতেই ধ'র্ষ'ণকে অ'স্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে। নারীদের বি'রু'দ্ধে সহিং'স'তা নি'র্মূ'লে বিশ্বজুড়ে ১৬ দিনের এক কর্মসূচি চলাকালীন এমন দাবি করলো নিউইয়র্কভিত্তিক এই মানবাধিকার সংগঠন।
গত ২৫ নভেম্বর এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রত্যেক বছর এই দিনটিকে বিশ্বজুড়ে নারীদের বিরুদ্ধে স'হিং'সতা প্র'তিরো'ধে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ধ'র্ষ'ণের মতো ঘৃ'ণ্য অ'পরা'ধের বি'রু'দ্ধে চলতি বছর বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রত্যাশা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলছে, কাশ্মীরে যারা ভারতীয় দখলদারিত্বের অ'বসা'নের দাবি করছেন, তাদের মনোবল ভে'ঙে দিতেই ভারতীয় নি'রাপ'ত্তার'ক্ষী বাহিনী সেখানকার নারীদের টা'র্গে'ট করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরি নারীদের প্রতিনিয়ত ধ'র্ষ'ণ করলেও ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়মিতভাবে দায়মুক্তি পাচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যু'দ্ধ এবং শান্তির সময়ও যৌ'ন স'হিং'সতা ও ধ'র্ষ'ণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধ'র্ষ'ণে বেঁচে যাওয়া নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ক্ষ'ম'তায়ন এবং লি'ঙ্গভি'ত্তিক স'হিং'সতার অ'বসা'নের এটাই সময়।
জাতিসংঘের কর্মকর্তা মারিয়া লুইজা ভিওট্টি স'ত'র্ক করে দিয়ে বলেছেন, নারীদের বি'রু'দ্ধে স'হিং'সতা ব্যা'পকহা'রে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যখন কাজে বের হয়ে নারীদের সঙ্গে কথা বলি, তখন জানতে পারি প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন নারী যৌ'ন সহিং'স'তার শি'কা'র হয়েছেন।
‘কিছু কিছু অঞ্চলে এবং কিছু নারীর ক্ষেত্রে যৌ'ন স'হিং'সতার হা'র অনেক বেশি; এটাই একমাত্র স'হিং'সতা যা জানা যাচ্ছে। তবে এর প্রকৃত চিত্র আরও অনেক বেশি হবে।’
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তার পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত পোষণ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেছেন, লিঙ্গভিত্তিক স'হিং'স'তা একটি বৈশ্বিক ইস্যু; যা বছরে লাখ লাখ নারী এবং তরুণী ক্ষ'তিগ্র'স্থ হচ্ছেন। এমনকি তাদের পরিবার এবং সম্প্রদায়ও আ'ক্রা'ন্ত। এটি জীবনের সমস্ত দিককে প্র'ভা'বিত করছে। এটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র এবং বাড়িতেও বিদ্যমান।
গত জুলাইয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাই কমিশনার কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর ‘ধ'র্ষ'ণ ও যৌ'ন স'হিং'সতাসহ’ বি'চা'রব'হি'র্ভূ'ত হ'ত্যাকা'ণ্ড, ব'লপ্রয়ো'গপূ'র্ব'ক আ'ট'কে রাখা, বে'আ'ইনি কা'রাব'ন্দি অবস্থায় মৃ'ত্যু, গু'ম, দু'র্ব্য'বহা'র এবং নি'র্যাত'নের নানা অভিযোগ এক প্রতিবেদনে নথিভূক্ত করেন।
এই প্রতিবেদনে ভারতীয় স'শ'স্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৯০ এ যে অ'স্বা'ভাবিক ক্ষ'ম'তা দেয়া হয়েছে; সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এই আইনে সামরিক বাহিনীকে রাষ্ট্র পুরোপুরি দায়মুক্তি দিয়েছে। যু'দ্ধ-সং'ঘা'তে যৌ'ন স'হিং'সতাবিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমীলা প্যাটেন বলেছেন, তিনি মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে অনেক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তার মনে হয়েছে, যৌ'ন স'হিং'সতার বিষয়টির অ'বসা'নের এখনই উপযুক্ত সময়। প্যাটেন বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টির অ'বসা'ন অ'নিবা'র্য ছিল; কিন্তু হয়নি। বর্তমানে এটাকে প্রতিরোধযোগ্য হিসেবে বোঝা উচিত।
গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বা'তি'ল করে দেয় ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সরকার। এই বিশেষ মর্যাদা বা'তি'ল হয়ে যাওয়ার পর এখন জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভেঙে দুটি অঞ্চল করা হয়েছে। সূত্র : ডন