আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অমুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রদানে পাস হওয়া একটি আইন নিয়ে উ'ত্তাল ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় রাজ্য। নিহ'ত হয়েছেন পাঁচজন। কা'রফি'উ জারিসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। সফর বাতিল করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী। সর্বশেষ শিলং সফর বাতিল করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বি'ক্ষোভ সবচেয়ে জো'ড়ালো আসামে। নিহ'ত পাঁচজনের সবাই ওই রাজ্যটির। এদিকে গতকাল থেকে উত্তরপূর্ব ভারতের আরেক রাজ্য মেঘালয়ও উ'ত্তাল। শিলংয়ে কা'রফিউ জারিসহ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এদিকে শুক্রবার বিক্ষোভ উ'ত্তাল হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা গ'ণআন্দো'লনের ডাক দিয়েছেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের দিল্লি সফর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মেঘালয় সফর গতকাল শেষ মু'হূর্তে বা'তিল করা হয়। তিন দিনের সফরে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের আজ শুক্রবার সড়কপথে মেঘালয় যাওয়ার কথা ছিল।
সফরসূচি অনুযায়ী আসাম রাজ্যের রাজধানী গোহাটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল জাপানের প্রধানমন্ত্রীর। গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মোদি-শিনজোর বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাও বাতিল করা হয়।
এদিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে কা'রফিউ জারির কারণে সিলেটের তামাবিল দিয়ে ভ্রমণকারীদের যাতায়াত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় আটজন বাংলাদেশি সীমান্ত পার হতে গেলে ভারতের ডাউকি থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। আ'ন্দোলন চলছে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) নিয়ে উত্তরপূর্ব ভারত অ'গ্নিগ'র্ভ রুপ ধারণ করায় অমিত শাহের শিলং সফর বাতিল করা হয়। আগামী রোববার নর্থ-ইস্ট পুলিশ অ্যাকাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতির। ওই সফরের পর তার অরুণাচল রাজ্যের সফরও বাতিল করা হয়েছে।
বিতর্কিত ওই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উ'ত্তাল ভারতের উত্তরপূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মেঘালয়ে ১২ ঘণ্টার জন্য কা'রফিউ তুলে নিলে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে রাজ্য ভবনের কাছে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছু'ড়লে সংঘ'র্ষ বেধে যায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাস-অনুরোধ সত্ত্বেও আসামে আ'গুন জ্বলছে। বি'ক্ষোভ সামাল দিতে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। জারি করা হয়েছে কারফিউ। সবকিছু অগ্রাহ্য করে রাজ্যটির শহরে শহরে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। আ'গুন জ্বে'লে সড়ক ও রেলপথ অব'রোধ করে আইনের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।
আসামে ক্ষমতাসীন বিজেপির মুখ এক এমপির বাড়ি জ্বা'লিয়ে দেয়া হয়েছে। ভা'ঙচুর করা হয়েছে চারটি রেলস্টেশন ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের একটা কার্যালয়। বি'ক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গু'লি ছুঁ'ড়েছেন পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। পাঁচজন নিহ'ত হওয়ার ছাড়াও আহ'ত হয়েছেন আরও অনেকে।