আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও নাগরিক পঞ্জি প্র'ত্যাহা'রের দাবিতে মঙ্গলবার কলকাতার যাদবপুর আট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত হাঁটলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
মমতার এক পাশে ছিলেন মিমি চক্রবর্তী, অন্য পাশে নুসরাত জাহান। দুই সাংসদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘিরেই সম্প্রতি বি'ত'র্ক দানা বেঁধেছিল। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তাদের পাশে নিয়ে হেঁটে সেই জল্পনায় জল ঢাললেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ১০ ডিসেম্বর রাতে লোকসভায় সং'শো'ধিত নাগরিকত্ব বিল পাশের ভোটাভুটির সময়ে তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন মিমি এবং দেব। দুপুরে বিল পেশের সময়ে যখন ভোটাভুটি হয়, তখন এদের পাশাপাশি দেখা যায়নি নুসর'তকেও। যদিও অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন, রাতে বিলের বি'রু'দ্ধে ভোট দেন তিনি। এই ঘটনার পরে মিমি ও নুসরাতের সংসদীয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে।
গত শুক্রবার থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই আইনের বি'রু'দ্ধে প্র'তিবা'দের আ'গু'ন জ্ব'লতে থাকে। সোমবার রাতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপরে পুলিশি নি'র্যা'তনের ঘটনার পরেও মিমি ও নুসরাতের কাছ থেকে কোনও প্র'তিক্রি'য়া পাওয়া যায়নি।
দলীয় কাজকর্মে মিমির অনুপস্থিতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। তবে মঙ্গলবার মিছিল শুরুর নির্ধারিত সময়েই পৌঁছে গিয়েছিলেন মিমি। তার নির্বাচনী কেন্দ্র দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেঁটে যাবেন, তাই মিমির যোগদান প্রত্যাশিত ছিল। মমতার পাশে পাশেই তাকে দেখা গিয়েছে এ দিন।
মিছিল শেষে মমতার হাতে জলের বোতলও তুলে দেন তিনি। এ দিনের মিছিলে হেঁটেছেন সোহম চক্রবর্তী, গৌতম ঘোষও। তবে টুইটে গণতন্ত্রের পথে থাকার আহ্বান জানালেও মিছিলে দেখা যায়নি দেবকে। পর পর তিনদিনের মিছিল।
তবে সেখানেই শেষ হচ্ছে না প্রথম পর্বের আন্দোলন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার কলকাতায় দু'টি জনসভা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম দিন রানি রাসমণি রোডে ও দ্বিতীয় দিন পার্ক সার্কাস ময়দানে। প্রথম জনসভাটি হবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যানারে এবং দ্বিতীয়টি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে। দু'টি সভাতেই প্রধান বক্তা হিসেবে থাকতে পারেন মমতা ব্যানার্জী।