আন্তর্জতিক ডেস্ক : নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্র'তিবাদ-বি'ক্ষোভে উ'ত্তাল ভারত। এই আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের গু'লিতে এ পর্যন্ত উত্তর প্রদেশে ১৬ জনসহ অন্তত ২০ জন নিহ'ত হয়েছেন। এদিকে, 'পোশাক' দেখে পুলিশ লাঠিচার্জ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মুসলিমিরা এই নি'পীড়নের শি'কার বলে মনে করা হচ্ছে। নয়া নাগরিকত্ব আইনের বি'রুদ্ধে ভারত জু'ড়ে প্র'তিবাদকে বিজেপি শুধুই মুসলিমদের বি'ক্ষোভ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ ।
দিল্লির জামা মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসছেন দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ। নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্র'তিবাদ-বি'ক্ষোভে তাঁর হাতে গীতা বা কোরান নয়। রয়েছে ভারতের সংবিধান। 'স্লামডগ মিলিয়নেয়ার' ছবির সাউন্ড ডিজাইনের জন্য অস্কার-জয়ী রেসুল পুকুট্টি-র কথায়, এটাই আমার কাছে বদলে যাওয়া ভারতের সব থেকে আশা জাগানো ছবি।
এদিকে বি'রোধীদের কিন্তু অ'ভিযোগ, নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে প্রতিবাদকে বিজেপি শুধুই মুসলিমদের বি'ক্ষোভ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। বেছে বেছে মুসলিম বি'ক্ষোভকা'রীদের ক্ষেত্রে দিল্লি তথা বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশ ক'ঠোর দমননীতি নিচ্ছে। প্রথমে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রদের ওপরে চ'ড়াও হওয়া, গতকাল পুরনো দিল্লির দরিয়াগঞ্জে শান্তিপূর্ণ মিছিলে লা'ঠি চালানো তারই নমুনা বলে বিরোধীদের দাবি। ভা'ইরাল হওয়া ভি'ডিওতে দেখা গেছে, মিছিল যখন দরিয়াগঞ্জের গলিতে, পুলিশ পিছন থেকে হঠাৎ তাড়া করে এসে লা'ঠি চা'লায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কারা হিং'সা ছড়াচ্ছেন, তা পোশাক দেখেই চেনা যাচ্ছে। এভাবে বিশেষ সম্প্রদায়কে তিনি ইঙ্গিত করলেন কেন, সে প্রশ্ন তখনই উঠেছিল। বিজেপি নেতৃত্ব নিয়মিতভাবে নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বি'ক্ষোভকে 'মুসলিম অভ্যু'ত্থান' হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
এই আইনের পক্ষে যে ১১০১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছেন, তাঁদের অন্যতম স্বপন দাশগুপ্ত টুইটারে যুক্তি দিয়েছেন, ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে যে এই অশান্তি রাজনৈতিকভাবে কোণ'ঠাসা হয়ে পড়ার বিরুদ্ধে মুসলিমদের অভ্যুত্থান। নাগরিকত্বের বিষয়টি তাতে সুবিধা মতো যোগ করে নেওয়া হয়েছে।
সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য নীলোৎপল বসু বলেন, বিজেপি প্রথম থেকেই এই প্র'তিবাদকে ধর্মীয় চেহারা দিতে চাইছে। যাতে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণে সুবিধা হয়। বাস্তব হলো, সাধারণ মানুষ থেকে ছাত্রছাত্রী ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সংবিধানের পক্ষে রুখে দাঁড়িয়েছেন।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বিবৃতিতে বলেছেন, এনআরসি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের গরিব মানুষের বি'রুদ্ধে। সংবিধানের মূল আত্মার বি'রুদ্ধে। মানুষ এর বি'রুদ্ধে রাস্তায় নেমে সংবিধানের পক্ষে ল'ড়ছেন। কিন্তু সরকার বর্বর দমন ও হিং'সার নীতি নিচ্ছে।
নীলোৎপলের যুক্তি, শুধুমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্যেই পুলিশ প্র'তিবাদকারীদের বিরুদ্ধে ক'ঠোর দমন নীতি নিচ্ছে। দিল্লি পুলিশও কেন্দ্রের অধীন। তাই রাজধানীতেও একই ছবি।
সূত্র : আনন্দবাজার