তারা আর শিরোনাম হতে চায় না!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অনেক হয়েছে আর নয়। এবার আমাদের একটু শান্তিতে থাকতে দিন। এভাবেই করজোরে আকুতি যানাচ্ছেন একটি গ্রামের লোকজন। ‘টুইন টাউন’ নামে খ্যাত এই গ্রামটির অবস্থান ভারতের কেরালা রাজ্যের মালাপুরাম জেলায়। কোদিনহি গ্রামেরই আরেক নাম যমজদের গ্রাম বা ‘টুইন টাউন’।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববাসীর আগ্রহের কারণে তাদের গ্রামটির নিভৃত জীবনে ছেদ পড়েছে। তাদের নিয়ে নানা কেচ্ছা কাহিনী প্রতিনিয়ত ছাপা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। কেউ আসছে ভিডিও করতে, কেউ ছুবি তুলতে। কত না প্রশ্ন এসব কৌতুহলী লোকজনের। অনেক গবেষকরাও আসছেন। এসব নিয়ে তিতি বিরক্ত হয়ে ওঠেছে গ্রামের বাসিন্দারা।
তাইতো এগুলোর ঠেকানোর ওপায় খুঁজে বের করতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিল নানামবারা গ্রাম পঞ্চায়েত। বৈঠকে অতি উৎসাহীদের কবল থেকে যমজদের পরিবারগুলোকে ঠেকাতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই কমিটির সদস্য হবেন নির্বাচিত প্রতিনিধি, প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্ব ও জমজদের বাবা-মায়েরা। ১৫ জানুয়ারি বৈঠক শেষে এ কমিটি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে মুসলিম অধ্যুষিত এই গ্রামে ৬ শতাংশ বেশি যমজ বাচ্চা জন্ম নেয়। ২০০৮ সালে সর্বোচ্চ ১৫টি যমজ বাচ্চা জন্ম নেয় এ গ্রামে। জমজ শিশু জন্মদানের এটি একটি বিশ্বরেকর্ড!
এ কারণে এ গ্রামের লোকসংখ্যাও বেশি। বর্তমানে কোদিনহি গ্রামের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২ হাজার। আর এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গ্রামটিতে প্রতি হাজারে ৪৫টি যমজ শিশু জন্ম নেয়। বর্তমানে এখানকার এই যমজ সন্তান জন্ম নেওয়ার খবর ছড়িয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে। ফলে এখানে প্রথমবারের মতো দ্য টুইনস অ্যান্ড কিনস অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠনও তৈরি হয়েছে। তবে এখনো এখানকার জমজ শিশু জন্মের রহস্য উদ্ধার করা যায়নি।
২৫ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�