বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৮:০২:৪৮

নাগরিকত্ব ইস্যুতে অরুন্ধতী রায় ‘গু'লি খাওয়ার জন্য মুসলমানরা জন্মাইনি’

নাগরিকত্ব ইস্যুতে অরুন্ধতী রায় ‘গু'লি খাওয়ার জন্য মুসলমানরা জন্মাইনি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাগরিকত্ব ইস্যুতে জনগণকে রু'খে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন দেশটির প্রথিতযশা লেখিকা অরুন্ধতী রায়। জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ আসলে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণেরই তথ্যসংগ্রহ হিসেবে কাজ করবে, এমন অভিযোগ তুলেছেন বুকার পুরস্কারজয়ী এই লেখিকা।

তিনি বলেন, প্রথমেই এর বিরো'ধিতা করুন, এনপিআর করতে দেবেন না, প্রয়োজনে এনপিআরের সময়ে ভু'ল তথ্য এবং ঠিকানা দিয়ে এর বিরো'ধিতা করুন। সম্প্রতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষো'ভকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে অরুন্ধতী রায় দাবি করেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ মুসলিমদের ক্ষেত্রে স'ম'স্যা সৃষ্টি করবে। 

তিনি বলেন, "তথ্য সংগ্রহে সরকারি কর্মীরা আপনার বাড়ি যাবে, আপনার নাম, ফোন নম্বর নেবে এবং আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো নথি দেখতে চাইবে এবং তারপর এনপিআর এনআরসি-র তথ্য সমগ্রে পরিণত হবে।"

ভারতের এই পথিতযশা লেখিকা বলেন, "আমাদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং এর বি'রু'দ্ধে ল'ড়া'ই করার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। যখন তারা আপনার বাড়িতে এনপিআরের জন্য তথ্য সংগ্রহে যাবে এবং আপনার নাম জিজ্ঞাসা করবে, আপনি তখন তাদের কাছে ভু'ল নাম বলুন। ঠিকানা চাইলে বলুন ৭, এতে ভাল রকমের বি'ভ্রা'ন্তি তৈরি করা যাবে, মনে রাখবেন আপনারা এখানে লা'ঠিপে'টা বা গু'লি খাওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি।

অরুন্ধতী রায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নি'শা'না করে বলেন, দিল্লিতে নিজের সভায় মি'থ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেছেন যে এনআরসি গোটা দেশে প্রয়োগ করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কখনও কিছু বলেনি এবং দেশে কোনও আ'ট'ক শিবির নেই। তিনি জেনে শুনেই মি'থ্যা বলেছেন। কারণ তার হাতে সংবাদমাধ্যম রয়েছে।

দেশে ব্যাপক বিক্ষো'ভ সত্ত্বেও সরকার এনআরসি এবং সিএএ-র নিয়মকে এনপিআরের মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও এদিন অ'ভিযো'গ করেন অরুন্ধতী রায়।

উত্তরপ্রদেশের পুলিশ মুসলিমদের উপর হা'ম'লা ও নি'পী'ড়ন চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে এই লেখিকা বলেন, "উত্তরপ্রদেশে মুসলিমদের উপর হা'ম'লা চলছে। পুলিশ ঘরে ঘরে ঢুকে অ'বা'ধে লুটপাট চালাচ্ছে। গুলি করা হচ্ছে। গুলি খাওয়ার জন্য মুসলমানরা জন্মাইনি।" সূত্র : এনডিটিভি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে