‘অখণ্ড রাষ্ট্র হবে বাংলাদেশ-ভারত ও পাকিস্তান’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জনগণের শুভবুদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান আবার ‘অখণ্ড (অবিভক্ত) ভারতে’ পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। প্রায় ৬০ বছর আগে অবিভক্ত ভারত ভেঙে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি স্বাধীন দেশের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে পাকিস্তান ভেঙে জন্ম হয় বাংলাদেশের। বিজেপির এই শীর্ষ নেতা রাম মাধব এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে জনগণের শুভবোধের মাধ্যমে আবার অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠিত হবে। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ‘হেড টু হেড’ অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। রাম মাধব বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) আজও বিশ্বাস করে যে ৬০ বছর আগে ঐতিহাসিক কারণে যেসব অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তা জনগণের শুভেচ্ছায় আবার একত্রিত হবে এবং অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠিত হবে। আরএসএস বিজেপির আদর্শিক শাখা হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘একজন আরএসএস সদস্য হিসেবে আমিও ওই দৃষ্টিভংগী পোষণ করি’। তবে একথার ব্যাখ্যা দিয়ে রাম মাধব বলেন, ‘তার মানে এই নয় যে কোনো দেশকে যুক্ত করতে আমরা কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব। যুদ্ধ ছাড়া জনগণের সম্মতিতেই এটা হতে পারে।’ রাম মাধব আগে আরএসএসের জাতীয় নির্বাহী সদস্য এবং মুখপাত্র ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন এবং পার্টির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিপুল জয়ের মাধ্যমে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটিতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ছড়ানোর জন্য সমালোচিত হচ্ছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে এক বিবৃতিতে তিনি ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর ব্যাখ্যাও দেন রাম মাধব। ‘এটা এমন একটা ভূখণ্ড যেখানে বিশেষ ধরনের জীবনধারা, বিশেষ ধরনের সংস্কৃতি এবং সভ্যতার পরিচর্যা করা হয়। আমরা সেটাকেই হিন্দু বলছি-আপনার কোনো আপত্তি আছে কি?’ তিনি বলেন, ‘ভারতে একটিই সংস্কৃতি আছে। আমাদের সংস্কৃতি এক, জনগণ এক এবং এক জাতি। রাম মাধব বিজেপির জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক দায়িত্বে আছেন। এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তার রয়েছে ভিন্ন দৃষ্টিভংগী। ‘কাশ্মীর সমস্যার একমাত্র অমিমাংসীত ইস্যু হলো পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর। কাশ্মীর ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটা বারবারই প্রমাণিত হয়েছে যে এটা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ,’ বলেন রাম মাধব। সূত্র: আলজাজিরা ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

�