আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কলকাতার যাদবপুরের বাসিন্দা সুইটি সূত্রধর কী ভাবে বহুতল থেকে পড়ে গেলেন, তা নিয়ে এখনও র'হ'স্য রয়ে গিয়েছে। বর্ষবরণের রাতে ওই বহুতলের ছাদের মধ্যখানের একটি ফাঁকা অংশে সুইটির দেহ পাওয়া যায়।
পড়ে যাওয়ার সময় ওই ফাঁকা অংশের একটি দেওয়ালে তার নখের আঁচড়ও রয়েছে। পুলিশের অনুমান, পড়ে যাওয়ার সময় সুইটি পাঁচিলটি আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। অতিরিক্ত ম'দ্যপানের পর বুঝতে না পেরেই কি তিনি ফাঁকা অংশে পড়ে গিয়েছিলেন, নাকি তাকে কেউ ধা'ক্কা দিয়ে ফেলে দেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাশের ছাদের সঙ্গে ওই বহুতলের ছাদের ফাঁকা অংশটির দূরত্ব খুবই কম। এক দিক থেকে অন্য দিকের ছাদে লাফিয়েও যাওয়া অসম্ভব নয়। সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত ছাদে সবার সঙ্গে পার্টি চলে। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি, তারা গভীর রাত পর্যন্ত ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত সেখানে সুইটি এবং তার স্বামী কুন্তল ছিলেন।
আবার কুন্তল পুলিশের কাছে দাবি করেন, তিনি একটা সময়ের পর ঘরে চলে গিয়েছিলেন। তখন একাই ছিলেন সুইটি। প্রশ্ন উঠছে, ওই রাতে সুইটি ছাদের অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্যে কি লাফ দিয়েছিলেন? ম'দ্যপ অবস্থায় এমন ঝুঁ'কিপূর্ণ কাজ কি সুইটির পক্ষে করা সম্ভব?
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ষবরণের মাঝেই গভীর রাতে একটি মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন ওই বহুতলের বাসিন্দারা। কিন্তু পুলিশ এসে কাউকে খুঁজে পায়নি। পরে সেই বহুতলের দু'টি ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গা তরুণীর র'ক্তা'ক্ত দেহ উ'দ্ধা'র করেন।