আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস্ বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ইরাকে মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহ'ত হওয়ার পর গোটা বিশ্ব কাঁ'পছে এ আলোচনায়।
যদিও মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আ'ধিপ'ত্য প্রতিষ্ঠায় সোলেইমানির ভূমিকার কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের টা'র্গে'ট ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। তবে শুক্রবার ভোরে বিমান হা'ম'লায় তার প্রা'ণহা'নির বিষয়টি অনেকের কাছেই আ'ক'স্মি'ক ঠেকছে।
মার্কিন পর্যবেক্ষকদের ভাষ্যে, ঘটনাটির জের শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে রকেট হা'ম'লায় এক মার্কিন ঠিকাদারের প্রা'ণহা'নির পর। পুরো সপ্তাহের ঘটনাক্রম জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর): সরকারবি'রো'ধী বিক্ষোভে উ'ত্তা'ল ইরাকে রকেট হা'ম'লায় এক মার্কিন ঠিকাদার নিহ'ত হন। ওই হা'ম'লায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের সামরিক বাহিনীর বেশ ক'জন সদস্যও আহ'ত হন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর): যুক্তরাষ্ট্রের সশ'স্ত্র বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হা'ম'লা চালায়। ওই হা'ম'লা হয় ইরান-সমর্থিত সশ'স্ত্র গো'ষ্ঠীর পাঁচটি স্থাপনায়। ওয়াশিংটনের ভাষ্যে, ওই স'শ'স্ত্র গোষ্ঠী আমেরিকান সেনাদের আবাস ও কর্মস্থল মার্কিন-ইরাকি সামরিক স্থাপনায় হা'ম'লায় জড়িত।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর): বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে হা'ম'লা চালায় ইরান-সমর্থক বিক্ষো'ভকারীরা। তারা দূতাবাস লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। সেখানকার নি'রা'প'ত্তা চৌকিতে আ'গু'ন দেয়। পরে নি'রাপ'ত্তাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষো'ভকারীদের সং'ঘ'র্ষ বাধে।
তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে যু'দ্ধ চান না, তবে যদি এমন সং'ঘা'ত চলেই আসে, ইরান বেশিদিন টিকতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি): ইরান-সমর্থিত স'শ'স্ত্র গো'ষ্ঠীগুলোর বি'রু'দ্ধে ক'ড়া হুঁ'শিয়া'রি বার্তা দেয় মার্কিন প্রতির'ক্ষা বিভাগের সদরদফতর পেন্টাগন।
প্রতির'ক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেন, ইরান-সমর্থিত বাহিনীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের স্বা'র্থবিরো'ধী বাড়তি উ'সকা'নি দিতে পারে। যদি তারা এমনটি করে, তবে তাদের অ'নুশো'চনায় পু'ড়তে হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো আ'ক্র'ম'ণ আন্দাজ করতে পারে তবে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি): যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বিমান হা'ম'লায় ইরানের সবচেয়ে পরা'ক্রম'শালী মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির নিহ'ত হওয়ার খবর দেয় পেন্টাগন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের ভবিষ্যৎ আ'ক্র'মণের পরিকল্পনা ভ'ণ্ডু'ল করা ছিল এ হা'ম'লার লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, ইরাকের সরকারবিরো'ধী ও সরকার-সমর্থকদের বিক্ষো'ভের মধ্যে ইরানের বিভিন্ন গোষ্ঠী ফায়'দা লু'টতে চাইছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন দূতাবাসে হা'ম'লার পেছনে ইরানের ওই গোষ্ঠীগুলোই জড়িত বলে মনে করে তারা। আর এই গোষ্ঠীগুলোর প্রধান হিসেবে সোলেইমানিকে বহু আগে থেকেই 'টার্গে'ট' করে রেখেছিল।