আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভ'য়াব'হ দা'বা'নলের কবলে অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। যার যেরে আসন্ন ভারত সফর বা'তিল করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। আগামী ১৪ জানুয়ারি ভারতে আসার কথা ছিল তার। তিন দিনের সফরে একাধিক কর্মসূচি ছিল মরিসনের।
অস্ট্রেলিয়ায় দা'বান'ল কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। যার জেরে ফের জ'রু'রি অবস্থা জারি করা হল অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে। গত বছর নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে একই কারণে কিছু দিনের জন্য জ'রু'রি অবস্থা জারি করা হয়েছিল, যা প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল।
এ বারের পরিস্থিতি তার থেকে অনেক বেশি ভ'য়'ঙ্ক'র। জ'রু'রি অবস্থা জারির মাধ্যমে বাড়তি ক্ষ'মতা তুলে দেওয়া হয়েছে দমকল এবং বি'প'র্য'য় মোকাবিলা কর্মীদের হাতে। তারা মনে করলে অবিলম্বে কোনও এলাকা খালি করার নির্দেশ দিতে পারেন, বাসিন্দাদের বা'ধ্য করতে পারেন বাড়ি ছাড়তে। শুক্রবার সকাল থেকে এই ব্যবস্থা কা'র্যকর হবে।
তবে, ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, জো'র করার দরকার পড়বে না। কারণ মানুষ এমনিতেই প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। আ'গু'ন থেকে বাঁচতে গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণের সমুদ্রতটে আশ্রয় নিয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ধোঁয়া এবং ছাইয়ের দা'পটে সেখানেও ঠিক ভাবে নিঃ'শ্বা'স নেওয়া যাচ্ছে না। প্র'ব'ল গরম এবং হাওয়ার দা'পটে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে আ'গু'ন।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে হাওয়ার বেগ একটু কমলে হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছাড়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তাতে আবার উলটো বি'প'ত্তি বেধেছে। বুধবার থেকে মূল সড়কটিতে গাড়ি চলাচল নি'ষি'দ্ধ, কারণ আ'গুনের লেলিহান শিখা রাস্তার উপর এসে পড়ছে, সেই অবস্থায় গাড়ি গেলে বড় ধরনের বি'প'দ ঘটে যেতে পারে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় এলাকা ছাড়তে পারছেন না স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণের সমুদ্রতট সংলগ্ন এলাকায় তী'ব্র যানজট তৈরি হয়েছে। যার জেরে ক্ষো'ভ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তেমনই এক জন রব ও'নেল। ৬ ঘণ্টা গাড়িতেই বসে রয়েছেন তিনি। মামার বাড়ি গিয়েছিল তার দুই খুদে সন্তান। সোমবার থেকে কারও সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনি।
রবের কথায়, 'আজ সকালে পরিস্থিতি একটু ভালো হতে বেরলাম, কিন্তু এক পা-ও এগোতে পারিনি।' এ দিকে, আবহাওয়ার দফতরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার পরিস্থিতি নতুন করে বি'গ'ড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ওই দিন থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়বে, পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে।
এ বারের দা'বা'নলে ইতিমধ্যেই ১৭ জনের প্রাণ গিয়েছে, এখনও কয়েকজন নিখোঁ'জ। শয়ে শয়ে ঘরবাড়ি ভ'স্মী'ভূ'ত হয়ে গিয়েছে। উ'দ্বে'গের বিষয় হল, অস্ট্রেলিয়ায় এই সবে গ্রীষ্মের শুরু। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি দু'মাস জুড়েই গ'রমের দা'প'ট থাকে। ফলে, আগামী দিনের কথা ভেবে এখন থেকেই শিউরে উঠছেন বাসিন্দারা।
ক্ষো'ভ দানা বেধেছে সরকারের পরিবেশ নীতি নিয়েও। নানা মহলের স'মালো'চনা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর মরিসনের বক্তব্য, অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ নীতিতে কোনও গলদ নেই। যেখানে বিরো'ধীদের অভিযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বজোড়া উদ্বে'গ সত্ত্বেও কোনও হেলদোল নেই এই সরকারের। তাই ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।