আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পা'চা'র হয়েছেন সেই কোন ছোট বয়সে। হাতবদল হতে হতে এখন শহরের এক যৌ'নপল্লিতে ঠাঁই হয়েছে বিথিঁর (নাম পরিবর্তিত)। বহু ক'ষ্টে আধার, ভোটার কার্ডটা তৈরি করেছিলেন।
কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলে দিয়েছেন, নাগরিকত্ব প্রমাণে ভোটার, আধার কার্ড চলবে না। বেঁচে থাকাটাই যেখানে চ্যালে'ঞ্জ, সেখানে আলাদা পরিচয়পত্র জোটাবেন কো'ত্থেকে, ভেবেই ঘুম উড়েছে তার।
পরিচয়পত্রে নামের পাশে লি'ঙ্গ পরিচিতি একজন পুরুষের। কিন্তু পরিচয়পত্রধারী এখন পরেন সালোয়ার বা শাড়ি। রূ'পা'ন্ত'রকামী সানিয়ারও ঘুম উড়েছে নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণের কথা ভেবেই।
সে দু'র্ভা'বনা বুকে চেপেই শুক্রবার সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ সাবিত্রীবাঈ ফুলের ১৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে নাগরিকত্ব আইনের প্র'তিবা'দে এই প্রথম একজোট হয়ে গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামলেন সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মহিলা, রূপান্তরকামী, ক্যুয়েররা।
প্রসঙ্গত, সাবিত্রীবাঈ লি'ঙ্গ এবং জা'তিবৈ'ষম্যের বি'রু'দ্ধেই তার প্র'তিবা'দ গড়ে তুলেছিলেন। শুক্রবার কলকাতার শহিদ মিনার থেকে উত্তরে আরএসএসের সদর দপ্তর কেশব ভবন পর্যন্ত সিএএ-এনআরসি, ট্রান্সজেন্ডার বিলসহ একাধিক দাবিতে মিছিল করলেন শহরের প্রান্তিক মহিলা, কুয়্যের, রূপান্তরকামীরাও। উত্তরে বিডন স্ট্রিটে পৌঁছতেই মিছিল আ'টকে দেয় পুলিশ। দু'পক্ষ সেখানে কিছুটা তরজাতেও জড়ান বলে অভিযোগ।
মিছিলের অন্যতম আহ্বায়ক নারীবাদী সংগঠন মৈত্রীর তরফে সমাজকর্মী রত্নাবলি রায় বলেন, ‘নাগরিকত্ব বিলে প্রান্তিক এই মানুষগুলির কথা বলা হয়নি। যারা ছোটবেলায় পা'চা'র হয়েছেন কিংবা যাদের জীবনের অনেকটা সময় কাটছে মা'ন'সিক হাসপাতালের ভিতরে, তারা কী ভাবে নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণ করবেন? শুক্রবারের তাই রাজপথে নামলেন তারা।’
কলকাতায় শুক্রবারের মিছিলে পা মেলালেন রাজ্যে যৌ'নকর্মীদের সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সদস্যরাও। দুর্বারের সম্পাদক কাজল বোস বলেন, ‘আমাদের অনেক মেয়েকেই ঘর ছাড়তে হয়েছে বা'ধ্য হয়ে। কেউ বাড়ির পথ ভুলেছেন। কারও জন্য আবার বাড়িতে ফেরার পথ ব'ন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেকেরই কোনও কাগজ নেই। কিছু মেয়েকে আমরা অনেক চেষ্টা করে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড বানিয়ে দিয়েছি। এখন সরকার যদি বলে সেগুলিও নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, তা হলে আমরা যাব কোথায়?’
শুক্রবারের মিছিলে দুর্বারের সদস্য রূ'পা'ন্তরকামীরাও যোগ দেন বলে জানিয়ে কাজল বলেন, 'আমাদের মতো প্রন্তিক মানুষদের ভোট নিয়ে তো মোদি সরকারে এসেছেন। তা হলে আমাদের নাগরিকত্বের প্রামাণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে না কেন সেই কাগজ? আমরা এই বৈ'ষম্যের প্র'তিবা'দ পথে নেমে করছি এবং ভবিষ্যতেও করব।' সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস