শনিবার, ০৪ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:৫৩:০৮

যে অ'স্ত্র দিয়ে হ'ত্যা করা হয় জেনারেল সোলাইমানিকে

যে অ'স্ত্র দিয়ে হ'ত্যা করা হয় জেনারেল সোলাইমানিকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র'কেট হা'মলা চালিয়ে হ'ত্যা করে মার্কিন বাহিনী। শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

আমেরিকার এই পদক্ষেপকে ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যু'দ্ধ ঘোষণা বলে মনে করা হচ্ছে। সোলাইমানির হ'ত্যা বৈশ্বিক রাজনীতিতেই বড় একটি ঘটনা। কথা হচ্ছে, কাসেম সোলাইমানিকে হ'ত্যার উদ্দেশ্যে এমন হা'মলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কেন এ সময়টিকে বেছে নিল, যেখানে আগে অন্তত দুবার তাকে নাগালে পেয়েও ছাড় দিয়েছিল মার্কিন বাহিনী।

বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তার গাড়ি বহরকে হা'মলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুটি আমেরিকান এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন দিয়ে এই হা'মলা হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক জেনারেল অ্যাটোমিকস নির্মিত এই অ'স্ত্র মার্কিন সামরিক বাহিনী ২০১৭ সাল থেকে ব্যবহার করছে। এর আগে এমকিউ-১ প্রিডেটর ব্যবহার করা হতো। দ্য এমকিউ-৯ রিপারের উল্লেখযোগ্য উড়াল সক্ষমতা, ব্যাপক সেনসর, বহুবিধ যোগাযোগ সুইট ও নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে হা'মলার সক্ষমতা রয়েছে বলে মার্কিন বিমান বাহিনীর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক কমান্ডার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, সোলাইমানিকে হ'ত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গোপন তথ্যদাতা, ইলেক্ট্রনিক ইন্টারসেপ্ট, শত্রুপক্ষের অবস্থান শনাক্ত করার বিমান ও অন্যান্য ন'জরদারি ব্যবস্থার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

৯/১১ হা'মলার পর অ'স্ত্র হিসেবে ড্রোন ব্যবহার করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। আর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় সেটা আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। ট্রাম্প যেটাকে বাড়িয়ে নতুন মাত্রা দিয়েছেন। মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের ফাঁস হওয়া আইনি নথি থেকে দেখা গেছে, উপস্থিতি অনেকটা নিশ্চিত হওয়ার পরই হোয়াইট হাউস কাউকে ড্রোন হা'মলা চালিয়ে হ'ত্যার নির্দেশ দিতে পারে।

ঘটনা বলছে, বিমানবন্দর থেকে গাড়ি বহর বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হা'মলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ধরে নেওয়া যায়, ড্রোন সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। কেবল হা'মলার অপেক্ষায় ছিল।

সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান চালানোর মতো কোনও ড্রোন ঘাঁটি নেই। ইরাকে হা'মলা চালাতে তিনটি ড্রোন ঘাঁটি ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে। সেগুলো হল, কুয়েতের আলী আল-সালেম বিমান ঘাঁটি, কাতারের আল-উদায়েদ বিমান ঘাঁটি ও আরব আমিরাতের আল দাফরা বিমান ঘাঁটি।

যদি এই ড্রোন কুয়েতের সবচেয়ে কাছের বিমান ঘাঁটি থেকেও উড়ে আসে, তবে গন্তব্যে পৌঁছাতে অন্তত ৫৭০ কিলোমিটার উড়তে হবে তাকে। এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন দিয়ে যেটা সম্ভব।

এই ড্রোনের পাল্লা এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার এবং এটির সর্বোচ্চ গতি ৪৮০ কিলোমিটার। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বড় অভিযানের জন্যই এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর বিদেশি অভিযানের দায়িত্ব আল-কুদস ফোর্সের। ৬২ বছর বয়সী নিহ'ত সোলাইমানি ছিলেন এই বাহিনীর প্রধান। সূত্র: বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে