আন্তর্জতিক ডেস্ক : জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মতো স্বা’ধীনচেতা ব্যক্তি ও অন্য শ’হীদ’দের র’ক্তে যারা নিজেদের হাত র’ঞ্জিত করেছে, তাদের জন্য কঠিন প্রতি’শোধ অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছে ঢাকার ই’রান দূতাবাস।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) ই’রান দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ই’রানের দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনগুলোতে ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির প্রতি সম্মান জানিয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
জেনারেল সোলাইমানি শুধু ইরানি জনগণের নয়, বরং তিনি বিশ্বের সব মুসলমান এবং নি'পীড়িত-বঞ্চিত মানুষের মর্যাদা ও গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। মার্কিনিরা মধ্যপ্রাচ্যে উ'ত্তেজনা ও সং'ঘা’তের লে'লিহান শি'খা ছড়িয়ে দিতে বর্ব’রোচিত হা’ম’লার মাধ্যমে ই’রানের কুদস ব্রিগেডের এই কমান্ডারকে হ’ত্যা করেছে। এর মাধ্যমে তারা ই’রাকের সার্বভৌমত্ব ল'ঙ্ঘন করেছে, আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি পদদলিত করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বি'নষ্ট করতে চেয়েছে। এই জঘন্য অ’প’রাধের হোতারা দাঁত’ভাঙ্গা জবাব পাবে।’
ই’রান দূতাবাস জানায়, ‘কাসেম সোলাইমানি ইসরায়েল, আল কায়েদা ও আই'এস জ’ঙ্গিদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ই’রাক ও সিরিয়াকে আই'এসের হাত থেকে মুক্ত করতে অ'ক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তার একমাত্র অপরাধ ছিল, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লালিত জ’ঙ্গি’গোষ্ঠী আইএস নির্মূ'লে আপোসহীন ভূমিকা রেখেছেন। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, এই শহী’দের পবিত্র র’ক্ত প্রতিরোধ-সংগ্রামকে আগের চেয়ে বেগবান করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যু’দ্ধাং’দেহী নীতি অকার্যকর করতে সাহায্য করবে।’
‘জেনারেল কাসেম সোলাইমানি তার পুরো জীবন আল্লাহর রাস্তায় নিবেদিত করেছেন। নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের জন্য শাহা’দতের উচ্চমর্যাদা তার প্রাপ্য ছিল।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ঘটনায় যারা শাহা’দত বরণ করেছেন, বিশেষ করে শ’হীদ জেনারেল সোলাইমানি ও শ’হীদ আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের নাম অনন্তকাল বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষের মনে অমর হয়ে থাকবে। আর এই অ'পরাধের হোতারা চিরদিন ইতিহাসে ধি'কৃত হবে।’