আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালীতে ফের দুটি যু'দ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। মার্কিন ড্রো'ন হা'ম'লায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হ'ত্যার ঘটনায় আঞ্চলিক উত্তে'জ'নার মধ্যেই নিজেদের জাহাজের সুরক্ষায় ইরানি জলসীমা বরাবর এগুলো মোতায়েন করছে দেশটি।
ব্রিটিশ প্র'তির'ক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস ব্রিটিশ নৌবাহিনীর দুটি ডেস্ট্রয়ারকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলসীমা হরমুজে ফের পাহারার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত হওয়ার নি'র্দে'শ দিয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ওয়ালেস বলেন, আমাদের নৌযান ও নাগরিকদের সু'র'ক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নেবে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তিনি এরই মধ্যে প'রিস্থি'তি নিয়ে মার্কিন প্রতির'ক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারের সঙ্গে কথা বলেছেন। সব পক্ষকে সং'য'ত হওয়ারও আ'হ্বা'ন জানিয়েছেন তিনি।
সোলাইমানির হ'ত্যাকাণ্ডের পর থেকে হরমুজে ফের ট্যা'ঙ্কারের ওপর হা'ম'লা হতে পারে, এমন আ'শ'ঙ্কা বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইরানের অন্যতম ক্ষ'ম'তাধর ব্যক্তি, স'ম'র প্রকৌ'শলবিদ ও সেনা ক'মা'ন্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি ও ইরাকের মিলিশিয়া বাহিনী শীর্ষ নেতা আবু মাহদি আল মুহানদিসের হ'ত্যার ফের বাজতে শুরু করেছে আরেক যু'দ্ধ-সং'ঘা'তের দা'মা'মা।
২০০৩ সালে মার্কিন আ'গ্রা'সনের দেড় দশক পর ইরাকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও দেশটি ফের আঞ্চলিক সং'ঘা'তের কেন্দ্রে চলে এসেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সোলাইমানির হ'ত্যাকা'ণ্ডের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের চিত্র মুহূর্তেই পা'ল্টে গেল। এ হ'ত্যাকা'ণ্ড ট্রাম্পকে স্বস্তি দিলেও মধ্যপ্রাচ্যে র'ক্ত ঝ'রাবে।
২০০৩ সালের ইরাক যু'দ্ধের পর মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে গ'ভী'র সং'ক'ট দেখা দিলেও ক্যারিবীয় অবকাশ কা'টছাঁ'ট করতে ব্য'র্থ হওয়ায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ব্যা'প'ক স'মালো'চনার মুখে পড়তে হয়েছে।
ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে মার্কিন গু'প্তহ'ত্যার ঘটনায় বিশ্ব নেতারা যখন সরব, তখন বরিস জনসনকে একেবারে নীরব থাকতে দেখা গেছে।
বান্ধবী ক্যারি সিমন্ডসকে নিয়ে বর্তমানে মাসটিক দ্বীপে অ'বকা'শ যাপনে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ডাউনিং স্ট্রিট বলছে, রোববার দেশে ফিরে আসবেন বরিস। আর চলতি সপ্তাহেই ওয়াশিংটন সফরে যাবেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিমিনিক রব।
সেখানে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। তবে এই হ'ত্যাকা'ণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন জানায়নি ব্রিটেন।