আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অমোরিকার হামলায় নিহ'ত সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানির শেষযাত্রায় যু'দ্ধের জিকিরে কেঁ'দেছে পুরো ইরান। এ সময় দাবি উঠলো ‘বদলা’র। ‘আমেরিকা নি'পাত যাক’ স্লোগানে কার্যত ভে'সে গেল ইরাকের রাজপথ।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) ইরানে তার শেষ'কৃ'ত্য সম্পন্ন হবে। তিনদিনের জাতীয় শো'ক ঘোষণা করা হয়েছে ইরানে। সোলেমানির হ'ত্যার পর নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে উ'ত্তেজনা বেড়েছে। নতুন করে ইরান-আমেরিকা ছা'য়াযু'দ্ধের আশ'ঙ্কাও দেখছেন অনেকে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে বাগদাদ বিমাবন্দরের কাছে ড্রো'ন হা'মলা চালায় আমেরিকা। তাতে নিহ'ত হন ইরানের রেভোলিউশারি গার্ডের নেতা সোলেমানি। তার সঙ্গেই মৃ'ত্যু হয় আধাসেনা বাহিনী হাশদ-আল-শাবির নেতা তথা সোলেমানির অন্যতম পরামর্শদাতা আল মুহান্দিস-সহ মোট ন’জনের। শনিবার (৪ জানুয়ারি) তাদের ক'ফিন নিয়ে বিশাল পদযাত্রা হয় ইরাকে।
রাজধানী বাগদাদ শহর থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মেহদি সেই পদযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন কিছু সময়ের জন্য। এ ছাড়া ইরানপন্থী বহু রাজনৈতিক নেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সুলেমানির পোস্টার, ব্যানার হাতে কয়েক লক্ষ মানুষ পদযাত্রায় শামিল হন। কফিনগুলো প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তর বাগদাদের একটি শিয়া তী'র্থস্থানে। সেখান থেকে বিশাল পদযাত্রা যায় কারবালা শহরে। সোলেমানি বাদে অন্য নিহ'তদের শেষকৃ'ত্য সম্পন্ন হয় নজফ শহরে। তার পরেই সোলেমানির ম'রদে'হ পাঠানো হয় ইরানে।
বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ও রাজননৈতিক নেতাদের উপস্থিতির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ছিল আমেরিকা-বিরোধী স্লোগান, ব্যানার, পোস্টার। কেউ প্রতি'শো'ধ নেয়ার দাবি তুলেছেন। কেউ আবার সরাসরি যু'দ্ধের হু'ঙ্কার ছেড়েছেন ইরাকে শেষযাত্রার মিছিল থেকেই। ফলে ইরানের পাশাপাশি ইরাকেও আমেরিকা-বিরোধী একটি জনমত তৈরির আশ'ঙ্কা দেখছে কূটনৈতিক মহল। পাশাপাশি ইরান-মার্কিন ছা'য়াযু'দ্ধ আরও তীব্র হবে বলেও মনে করছেন অনেকে।
ইরান এরই মধ্যে যু'দ্ধের জিগির তুলেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইরানের দূত মজিদ তখত রাভানচি বলেছেন, সামরিক অভিযানের জবাব সামরিক অভিযানেই দেয়া হবে। কোথায়, কখন— সেটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও পাল্টা হুঁ'শিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেছেন, আমেরিকার ওপর হা'মলা হলে ইরানের ৫২টি জায়গায় হা'মলা করা হবে। সেই জায়গাগুলোও বেছে রাখা হয়েছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি। আনন্দবাজার।