মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:৪৬:০৪

সোলেইমানিকে হ'ত্যা ও ট্রাম্পের নির্দে'শ যু'দ্ধাপ'রাধের সামিল : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

সোলেইমানিকে হ'ত্যা ও ট্রাম্পের নির্দে'শ যু'দ্ধাপ'রাধের সামিল : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনা ট্রাম্প যে ভাষায় কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা ও ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনাকেও হা'ম'লার টা'র্গে'ট করা হতে পারে বলে হু'ম'কি দিয়েছেন, তাকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেক মার্কিন রাজনীতিক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।

এই হু'ম'কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমে দিয়েছিলেন গত শনিবার। তিনি বলেছিলেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আ'ঘা'ত হা'নলে পা'ল্টা জবাব দেয়ার জন্য ইরানের ৫২টি টা'র্গে'ট বাছাই করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মধ্যে অনেক সাংস্কৃতিক স্থাপনাও আছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই হু'ম'কি দিয়েছিলেন ইরান তাদের শীর্ষস্থানীয় জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হ'ত্যার ক'ঠো'র প্র'তিশো'ধ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর। রবিবার আবারও এই হু'ম'কির পু'নরা'বৃ'ত্তি করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার পক্ষে যু'ক্তি দেয়ার চেষ্টা করেন।

ট্রাম্প বলেন, 'যদি ওরা মার্কিন নাগরিকদের হ'ত্যা করে, নি'র্যা'তন করে, রাস্তার ধারে বো'মা মে'রে মার্কিনীদের উড়িয়ে দেয়, তাহলে আমরা কেন ওদের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হা'ম'লা চালাতে পারবো না?"

তার এই কথার স'মালো'চনা শুধু আন্তর্জাতিকভাবেই নয়, স্বদেশেও হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একে সরাসরি যু'দ্ধাপ'রা'ধের সঙ্গে তুলনা করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি এই কাজ করেন, সেটা হবে যু'দ্ধা'প'রা'ধের সামিল।

যু'দ্ধ সম্পর্কিত যে জেনেভা কনভেনশন, তার ৫৩ ধারার কথা উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, কোন ধরনের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হা'ম'লা, এতে একেবারেই নি'ষি'দ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেট দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন, যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়নপ্রার্থী, তিনিও মন্তব্য করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আসলে যু'দ্ধা'পরা'ধ করার হু'ম'কি দিচ্ছেন।

আর সবচেয়ে ক'ঠো'র জ'বা'ব এসেছে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফের কাছ থেকে। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হু'ম'কিকে ইসলামিক স্টেট যেভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সাংস্কৃতিক স্থাপনা ধ্বং'সের চেষ্টা করেছিল, তার সঙ্গে তুলনা করেছেন। 

জাভাদ জারিফ বলেছেন, "হাজার বছর ধরে যে ব'র্ব'ররা এসে ইরানের নগরীগুলো ধ্বং'স করেছে, সভ্যতা ধ্বং'স করেছে, পাঠাগার পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা এখন কোথায়? ইরানিরা এখনো দাঁড়িয়ে আছে আরও শ'ক্তিশা'লী হয়ে।"

ট্রাম্প ইরানের বি'রু'দ্ধে যেসব র'ণহুং'কার দিচ্ছেন, তাতে তিনি কংগ্রেসের অনুমতি ছা'ড়াই যুক্তরাষ্ট্রকে যু'দ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারেন, এমন আ'শং'কা তৈরি হয়েছে ডেমোক্রেটদের মধ্যে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় সব নেতাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বে'পরো'য়া ইরান-নীতির ক'ঠো'র স'মালো'চনা করেছেন। সূত্র : বিবিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে