আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাক থেকে তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁ'টি। আছে হাজারো সৈন্য। ইরানের হু'মকির পর এই ঘাঁ'টিগুলোতে ‘হাই অ্যা'লার্ট’ জা'রির পাশাপাশি বাড়তি সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন।
ইরাক: ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের কত সৈন্য রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায় না। তবে গ্রিন জোন, বাগদাদের কূটনৈতিক এলাকা, আল আসাদ বিমান ঘাঁ'টিতে বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য রয়েছে। যার সংখ্যা আনুমানিক ছয় হাজার হতে পারে। গত নভেম্বরে আল আসাদ বিমান ঘাঁ'টিতে সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স।কুয়েত: মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র কুয়েত। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে প্রতির'ক্ষা সহা'য়তা চুক্তি। দেশটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটি। যেখানে প্রায় ১৩ হাজার সৈন্য রয়েছে।
সিরিয়া: সিরিয়ার কোথায় যুক্তরাষ্ট্রের কত সংখ্যক সৈন্য রয়েছে সে বিষয়টি প্রকাশিত নয়। অক্টোবরে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার আগ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ২০০০ সৈন্য ছিল, বর্তমানে যা ৮০০ জনে নেমে এসেছে। যেসব ঘাঁ'টি চালু আছে তার একটি সিরিয়ান-জর্ডান সীমা'ন্তে। এর কাছেই রয়েছে ইরানীয় আর তাদের সমর্থিত বাহিনী।জডার্ন: ইরাক, সিরিয়া, ইসরায়েল, আর সৌদি আরবের সঙ্গে সীমা'ন্ত রয়েছে জডার্নের। কৌশ'লগত দিক থেকে তাই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থান এটি। দেশটির মুভাফফাক ছালটি বিমান ঘাঁ'টি থেকে সিরিয়ায় আইএস বিরো'ধী হা'মলা চালানো হয়েছে। অবশ্য কিং ফয়সাল বিমান ঘাঁ'টিতে ২০১৬ সালে তিন মার্কিন সেনা নিহ'ত হয়েছিল জডার্নের বিমান বাহিনীর গু'লিতে।
সৌদি আরব: সৌদি আরবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার সেনা সদস্য রয়েছে। অক্টোবরে সৌদি তেলক্ষেত্রে হা'মলার পর ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সং'ঘা'তের শ'ঙ্কায় সেখানে আরো সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা।বাহরাইন: বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌ ঘাঁ'টি রয়েছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটি বরাবরই সৌদি আরবের মিত্র৷ ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমর্থকও তারা। বর্তমানে সেখানে সাত হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে।ওমান: ওমানের অবস্থান হরমুজ প্রণা'লীর কাছে আরব উপকূলে, যা জ্বালানি পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ। গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রেকে বিমান ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয় ওমান। বর্তমানে সেখানে ৬০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত: হরমুজ প্রণালীর পাশে থাকা আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদেরও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সাথে ভাল সম্পর্ক বিদ্যমান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে পাঁচ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে পেন্টাগন। কাতার: মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁ'টিটি কাতারের আল উদিদে। এর আধুনিকায়নে ২০১৮ সালে ১৮০ কোটি ডলারে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে কাতার। বর্তমানে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ হাজার সৈন্য নিযু'ক্ত রয়েছে। তুরস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য রয়েছে তুরস্কেও। দেশটির ইনজি'রলিক বিমান ঘাঁ'টিসহ বেশ কিছু জায়গায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।