আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বরাবরের মতো স্বভাবসুলভ ট্রাম্পকে দেখা গেল না ৮ জানুয়ারি সকাল বেলার হোয়াইট হাউজের ভাষণে। তার বেশিভাগ ভাষণে কৌতুক অথবা শ্লে'ষমি'শ্রিত যে টানটি সবসময় দেখা যায় তার ছি'টেফোঁ'টাও ছিলনা ট্রাম্পের সর্বশেষ এই ভাষণে। দ্বিতীয় বিশ্বযু'দ্ধের ভ'য়াব'হতার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁ'টিতে এমন হা'ম'লার খবর নি'র্দ্বি'ধায় ন'জিরবি'হী'ন ঘটনা।
আর একারণেই কি ট্রাম্প বিষয়ের গ'ভী'রতা অনুধাবন করে এমন হিম'শীতল কণ্ঠে কথা গুলো বলেছেন? প্রশ্ন থেকেই যায়। কুর্দ ফোর্স প্রধান কাসেম সোলেইমানির মৃ'ত্যুতে তিনি যেমন শব্দচয়ন করেছিলেন, যেই স্বরে তিনি দ'ম্ভ প্রকাশ করেছিলেন সেই দ'ম্ভ থেকে তাকে সরে আসতে দেখা যায় বুধবারের (৮ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে। এই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ছিলেন অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে শান্ত, স্থির, স্থি'ত'ধী।
খানিকটা কাঁ'পা কণ্ঠেই তিনি ‘কোনো মার্কিন প্রা'ণহা'নির ঘটনা ঘটেনি তা বলেছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনী যখন একের পর এক যু'দ্ধং'দে'হী বক্তব্য দিচ্ছেন তার জবাবে এই দুই দেশের মধ্যে উ'দ্ভূ'ত বিষম পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ‘যু'দ্ধ নয় একসঙ্গে পথ চলার’ আ'হ্বা'নও জানান। তবে কি যু'দ্ধের দা'মা'মা থেকে সরে আসতে চাইছেন পৃথিবীর সবচেয়ে শ'ক্তিশা'লী সৈন্যবাহিনীর নেতা?
এদিন ট্রাম্প বলেন, ইরানের ছোড়া মি'সা'ইলের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ইরানি মিসাইল হা'ম'লায় কোনো ক্ষ'য়ক্ষ'তি ও প্রা'ণহা'নি হয়নি। কারণ পূর্বেই প্র'তির'ক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এ জন্য চৌ'ক'স ও দ'ক্ষ সেনাদের ধন্যবাদ।
ইরানকে স'ন্ত্রা'সবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকানদের জীবন হু'ম'কির মধ্যে ফেলেছিল, এমন একজনকে আমরা গত সপ্তাহে হ'ত্যা করেছি। সে হিজবুল্লাহসহ স'ন্ত্রা'সীদের প্রশিক্ষণ দিত। রাস্তার পাশে বো'মা পুঁতে রেখে অনেক সৈন্যকে হ'ত্যা করেছে। সোলাইমানির নি'র্দে'শে বাগদাদে মার্কিন অ্যাম্বাসিতে হা'ম'লা হয়। সে আরো বড় হা'ম'লার পরিকল্পনা করেছিল কিন্তু আমরা তাকে প্র'তিহ'ত করে দিয়েছি।
ট্রাম্প বলেন, ইরানকে বুঝতে হবে তাদের স'ন্ত্রা'সের রাজত্ব আর মেনে নেয়া হবে না। ন্যাটোকে আমি আহ্বান জানাব, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আরো সম্পৃক্ত হতে হবে। ট্রাম্প উল্লেখ করেন তার শা'স'নামলে মার্কিন স'ম'রসজ্জা আরো শ'ক্তিশা'লী হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মি'সাই'লগুলো বড় ও শ'ক্তিশালী। তবে আমরা তা ব্যবহার করতে চাই না। আইএসের ধ্বং'স যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের জন্য মঙ্গলজনক ছিল। ইরানিরা ভালো ভবিষ্যতের যোগ্য। তাদের শাসকরা তা বুঝতে পারলে একসঙ্গে পথ চলতে আ'প'ত্তি নেই তার।