আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মা প্রিন্সেস ডায়ানার পথেই পা বা'ড়ালেন ব্রিটিশ সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি।রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব থেকে স'রে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার পত্নী ডাচেস মেগান মার্কেল।রাজপরিবারের বাঁ'ধাধ'রা নিয়মে খা'প খাও'য়াতে না পেরে সাধারণদের মতো স্বাধীন চলাফেরা করতেই এমন ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তারা বছরের কিছুটা সময় যুক্তরাজ্যে এবং বাকিটা উত্তর আমেরিকায় কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন।ডায়ানাও প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিচ্ছে'দের আগে ১৯৯৩ সালে রাজকীয় দায়িত্ব কমিয়ে নিজের মতো জীবন কাটানোর সিদ্ধ'ন্ত নিয়েছিলেন।
বিবিসি বলছে, হ্যারি ও মেগান এই সিদ্ধ'ন্ত জানানোর আগে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বা প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি।হঠাৎ এ সিদ্ধনে্ত রী'তিম'তো হ'তভ'ম্ব বাকিংহাম প্যালেস। আহ'ত হয়েছেন রাজপরিবারের অন্য জ্যেষ্ঠ সদস্যরাও।ইউরোপ থেকে বিচ্ছে'দ নিয়ে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট টা'নাপো'ড়নের মধ্যেই খো'দ রাজপরিবারেই এ ভা'ঙনের মু'খরো'চক খবরে রং-তামা'শা শুরু হয়েছে গোটা পশ্চিমা বিশ্বে।
মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক পোস্ট ব্য'ঙ্গ করে এ ঘটনাকে 'মে'ক্সি'ট' (মেগান+এক্সি'ট) অ্যা'খ্যা দিয়েছে। ইতালির রিপাবলিকা বলছে, রাজপরিবার থেকে ডি'ভো'র্স চাইছেন মেগান-হ্যারি।হ্যারি (৩৮) ও মেগান (৩৫) গত অক্টোবরে বলেছিলেন, রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে সারাক্ষ'ণ গণমাধ্যমের নজ'রে থাকতে হয় বলে ব্যক্তিগত জীবন কঠি'ন হয়ে যাচ্ছে। তার তিন মাসের মাথায় তারা নিজেদের ইনস্টাগ্রাম পাতায় রাজপরিবার ছা'ড়ার ঘোষণা দিলেন।
বিবৃতিতে হ্যারি ও মেগান বলেছেন, 'রানী, কমনওয়েলথ ও অভিভাবকদের প্রতি দায়িত্বের বিষয়ে পূর্ণ সম্মান রেখেই তারা তাদের সময় যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে ভা'গ করে নিতে চান।সন্তান আর্চির বে'ড়ে ওঠার পাশাপাশি নতুন একটি দাত'ব্য সংস্থা খোলার পরিকল্প'না বাস্তবায়নে 'এই ভৌগলিক ভা'রসা'ম্য' সহা'য়ক হবে বলে যু'ক্তি দিয়েছেন তারা।হ্যারি-মেগানের ওই ঘোষ'ণা বাকিংহাম প্রসাদকে বেশ বড় ধা'ক্কাই দিয়েছে। রাজপরিবার তাদের সিদ্ধা'ন্তের কারণে যতটা না আহ'ত হয়েছে, তার চেয়ে বেশি আহ'ত হয়েছে তারা যেভাবে আলোচনা না করে ওই ঘোষণা দিয়েছেন- তা নিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অভিনেত্রী মেগান তার কাজের সূত্রে এক সময় টরন্টোতে কাটিয়েছেন। সেখানে তার বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবও আছে। আর রাজপরিবারের জীবনে অনেক কিছুর সঙ্গেই তারা মানিয়ে নিতে পারছেন না।তিনি বলেছেন, তিনি বো'বা পুতুলটি হয়ে থাকতে চান না। কিন্তু যখনই উ'চ্চক'ণ্ঠ করেছেন, তাকে সমা'লোচ'নায় পড়'তে হয়েছে। এছাড়া প্রিন্সেস কেট মিডলটনের সঙ্গে ঝ'গড়া'র খবরও সামনে এসেছে।
এর আগে ১৯৩৬ সালে রাজা অষ্টম অ্যাডওয়ার্ড তো মার্কিন নারী ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করার জন্য সিংহাসনই ত্যাগ করেছিলেন।
হ্যারির চাচা প্রিন্স অ্যান্ড্রু গত বছর শেষ দিকে এপস্টেইন কে'লে'ঙ্কা'রিতে জ'ড়ি'য়ে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে স'রে যাওয়ার ঘোষ'ণা দেন। আর অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারাও তাদের বি'চ্ছে'দের পর রাজকীয় দায়িত্ব থেকে নিজেকে গু'টিয়ে নেন।