আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার তী'ব্র উ'ত্তেজ'নার ঘটনায় উ'দ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যকার সাম্প্রতিক উ'ত্তেজনা কমিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
ইউরোপীয় নেতারা ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ দেখাতে চান। তারা চান উভয় দেশই যেন সং'ঘাত থেকে দূরে থাকে। তাদের মতে, ইরান বা যুক্তরাষ্ট্র যদি এই মু'হূর্তে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয় তবে তা যু'দ্ধে গিয়ে ঠে'কতে পারে অথবা দু'দেশের পরমাণু কর্মসূচি বৃদ্ধি পাবে।
শুক্রবার এ বিষয়ে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইয়েভস লে দ্রিয়ান বলেন, ইরান যদি পরমাণু চুক্তি ২০১৫ ল'ঙ্ঘ'ন করতে থাকে তবে আগামী ২-১ বছরের মধ্যেই তারা পারমাণবিক অ'স্ত্রে'র অধিকারী হতে পারে। তিনি বলেন, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে অর্থাৎ দু'এক বছরের মধ্যেই তারা পারমাণবিক অ'স্ত্র অর্জন করতে সক্ষম হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যতদিন প্রেসিডেন্ট থাকবেন ততদিন ইরানকে পারমাণবিক অ'স্ত্রের অধিকারী দেশ হতে দেবেন না। ভাষণের শুরুতেই ট্রাম্প বলেন, আমি যতদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকব ততদিন ইরানকে পারমাণবিক অ'স্ত্র অর্জন করতে দেব না।
তিনি বলেন, ইরান যদি পারমাণবিক অ'স্ত্র অর্জনের চেষ্টা বাদ দেয় এবং স'ন্ত্রা'সের পথ ত্যাগ করে তাহলে শান্তি স্থাপনেও আমরা প্রস্তুত। যদি তারা শান্তির পথ বেছে না নেয় তাহলে দেশটির ওপর আরও কঠোর নি'ষেধা'জ্ঞা আ'রোপ করা হবে।