আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দূত আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময় আমার শরণাপন্ন হয়েছিলেন তারা বলে এক ভিডিও বার্তায় বলে বিখ্যাত ইসলামী প্রবক্তা ড. জাকের নায়েক। বর্তমানে জাকির মালয়শিয়ায় নির্বাসিত জীবন-যাবন করছেন। ভারতের নামে একাধিক মামলায় গ্রেফতারির নিদে'র্শ রয়েছে।
ভারতের এই বিখ্যাত ইসলামী প্রবক্তার দাবি, মোদি সরকার তাকে বলেছিল, কাশ্মীর নিয়ে সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন করতে। তাহলে জাকিরের বি'রু'দ্ধে সব মামলা তুলে নেওয়া হবে। তিনি ভারতে ফিরতে পারবেন। কিন্তু জাকির নায়েক এই প্রস্তাবে রাজি হননি।
একইসঙ্গে জাকির নায়েক জানান, সরকার চেয়েছিল তার নানা যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করতে। ভারতে জাকির নায়েক হলেন 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ব্যক্তি। বেশ কয়েকটি নি'রাপ'ত্তারক্ষী সংস্থা তাকে খুঁ'জছে। তার দাবি, বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম নেতাকে হু'ম'কি দিয়ে অথবা ব্ল্যা'কমে'ল করে সরকারের কথা মানতে বা'ধ্য করা হয়েছে।
জাকির নায়েক বলেন, 'ভারত সরকার তাদের এক প্রতিনিধির সঙ্গে আমাকে বৈঠকে বসতে বলেছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ সপ্তাহে সেই প্রতিনিধি আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পরে সোজা আপনার কাছে এসেছি। ওই প্রতিনিধি আমাকে বলেন, মোদি ও অমিত শাহের নির্দে'শে আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আপনি যাতে নিরাপদে ভারতে ফিরতে পারেন, সেজন্য তারা ব্যবস্থা করবেন। বিনিময়ে তারা আপনার সাহায্যে মুসলিম দেশগুলির সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান।'
জাকির নায়েক জানান, এই প্রস্তাব শুনে তিনি প্রথমে অ'বা'ক হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত লোকসভা ভোটের আগে এক ভাষণে দু'মিনিটে তার নাম উল্লেখ করেছিলেন ন'বার। তার দাবি, নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি কয়েক ঘণ্টা কথা বলেছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ৩৭০ ধারা র'দ করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করুন। সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া