মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৪১:০৪

ইরানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্ব'স্তের দায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘাড়ে চাঁ'পালেন জাস্টিন ট্রুডো

ইরানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্ব'স্তের দায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘাড়ে চাঁ'পালেন জাস্টিন ট্রুডো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে উত্তে'জনা ও ইরানের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্ব'স্তের ঘ'টনায় যুক্তরাষ্ট্রকে দা'য়ী করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তী'ব্র স'মালো'চনা করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সাম্প্রতিক উত্তে'জনা তৈরি না করতো তাহলে বিধ্ব'স্ত বিমানের যাত্রীরা হয়তো এখনও বেঁচে থাকতেন।

কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি মনে করি, যদি কোনো উত্তে'জনা না থাকতো, ওই অঞ্চলের উত্তে'জনা না বাড়তো, তাহলে বিমানের কানাডীয় আরো'হীরা এখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাদের বাড়িতে থাকতেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অ-পারমাণবিক ইরানের খুব, খুবই প্রয়োজন। কিন্তু একই সঙ্গে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকা'ণ্ডের কারণে যে উত্তে'জনা; সেটিরও নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।

গত বুধবার তেহরান থেকে ইউক্রেনের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ উড্ডয়নের পরপরই ক্ষে'পণা'স্ত্রের আ'ঘা'তে বিধ্ব'স্ত হয়। বিধ্ব'স্ত এই বিমানের ১৭৬ আরোহীর সবাই মা'রা যান। নিহ'ত যাত্রীদের অন্তত ৫৭ জন কানাডার নাগরিক; যাদের অনেকের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। বিমান বিধ্ব'স্তের ঘটনায় ইরানের কাছে থেকে পরিষ্কার এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য দাবি করে আসছেন জাস্টিন ট্রুডো। 

কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার সময় তিনি এই দাবি জানিয়েছেন। বিমানটি ভুলেই ইরানি ক্ষে'পণা'স্ত্রের আ'ঘা'তে বিধ্ব'স্ত হয়েছে বলে শনিবার স্বী'কার করেন রুহানি। তিনি রুহানিকে এই স্বী'কারো'ক্তি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন। কিন্তু আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও ইরানের প্রেসিডেন্টকে জানান তিনি।

কানাডীয় এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বিধ্ব'স্তের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদ'ন্ত পরিচালনা করতে হবে। এ ধরনের রো'মহ'র্ষক নির্ম'মতা কীভাবে ঘটল, সেব্যাপারে আমাদের পূর্ণাঙ্গ পরিষ্কার ব্যাখ্যা দরকার। অবশ্যই ইরানকে এর পুরো দা'য় নিতে হবে। বিমান বিধ্ব'স্তে নিহ'ত প্রত্যেক কানাডীয় নাগরিকের জন্য ইরানের কাছে ক্ষ'তিপূরণ দাবি করা হতে পারে বলে ই'ঙ্গি'ত দিয়েছেন তিনি। কানাডার এক পরিসংখ্যান বলছে, উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে অন্তত ২ লাখ ১০ হাজার ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক বসবাস করছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে