আন্তর্জতিক ডেস্ক : পুরো লিভারই অ'কে'জো হয়ে পড়েছিল রঞ্জিত কুণ্ডুর। শরীর থেকে কে'টে বাদ দিতে হবে ভীষণ জরুরি এই অন্ত্রটি। প্রতিস্থাপন করতে হবে নতুন একটি কিংবা একটির বড় অংশ।
৪৬ বছর বয়সী রঞ্জিত কুণ্ডুর বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট জেলায়। সেখানেই চলছিল তাঁর চিকিৎসা। তবে অন্য কারো লিভার না মেলায় তাঁর অ'স্ত্রোপ'চার সম্ভব হচ্ছিল না। তাই তাঁকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছিল দেশটির অন্য কোনো রাজ্যে। তাতে বা'ধ সাধেন রঞ্জিতের ছেলে প্রীতম। বাবাকে লিভার দিতে চাইলেন ছেলে। পরিবারের সদস্যরা তাতে বা'ধাও দিলেন। কিন্তু সব বাধাকে অগ্রাহ্য নিজের লিভারের ৬৫ শতাংশ দান করলেন ১৯ বছর বয়সী ছেলে প্রীতম। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের 'স্কুল অব ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড লিভার ডিজিজেস-এ সম্পন্ন হয় তাঁর অ'স্ত্রো'পচার।
রঞ্জিত কুণ্ডুর ভাই জয়ন্ত কুণ্ডু জানান, সিরোসিস অব লিভারে আ'ক্রা'ন্ত তাঁর ভাইকে যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এ জন্য এসএসকেএম হাসপাতালেই চিকিৎসা হবে বলে জানান তাঁরা। কিন্তু অন্য কারো সঙ্গে না মেলায় সেই অ'স্ত্রো'পচার সম্ভব হচ্ছিল না। তখনই প্রীতম যকৃৎ দিতে চাইলেন। পরিবারের কেউ রাজি হলেও অনড় ছেলের জেদের কাছে হার মানেন মা সুজাতা। এর পরই এসএসকেএম-এর হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অভিজিৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে শুরু হয় অ'স্ত্রো'পচা'রের প্রস্তুতি।