আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের আমন্ত্রণে সাড়া দিচ্ছেন না পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী? সূত্রের খবর তেমনটাই। মোদির আমন্ত্রণ প্রত্যা'খ্যান করে ভারত সফর এড়িয়ে যেতে পারেন ইমরান খান। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)এর সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে বৃহস্পতবারই জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। তবে সেই আমন্ত্রণ পুরোপুরি প্রত্যা'খ্যান না করে পরিবর্ত হিসেবে ইমরান তার বিদেশমন্ত্রীকে পাঠাতে পারেন বলে পাক প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস।
এ বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। সম্মেলনের রীতি মেনে আটটি সদস্য দেশ ছাড়াও পর্যবেক্ষক ও আলোচক দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে বৃহস্পতিবার জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তখনই কূটনৈতিক মহলের আ'শ'ঙ্কা ছিল, পুলওয়ামায় আ'ত্মঘা'তী জ'ঙ্গি হা'নায় পাক যোগের প্রমাণ, তার জেরে বালাকোটে ভারতীয় বিমানসেনার অভিযান, ৩৭০ অনুচ্ছেদ র'দ ঘিরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্কের ফা'টল যা চওড়া হয়েছে, তা উপেক্ষা করে ইমরানের ভারত সফরে আসা কার্যত অসম্ভব।
এ বার সেই ই'ঙ্গিতই দিলেন পাক প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্তা আইএনএস-কে বলেছেন, ''বালাকোটের পর ভারত-পাকিস্থান সম্পর্কের যে অব'নতি হয়েছে, তার পরে ভারত সফরে গেলে ইমরান খানের পক্ষে তার যথার্থতা ব্যাখ্যা করা ক'ঠিন। খুব সম্ভবত, তিনি তার বিদেশমন্ত্রীকে পাঠাবেন।'' কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তাতে নিমন্ত্রণ র'ক্ষাও হবে আবার নিজে এলে দেশের অভ্যন্তরে যে প্রশ্নের মুখে পড়তেন, তাও এড়াতে পারবেন তিনি।
ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক নিরা'পত্তা ও অর্থনীতি বিষয়ক আট সদস্যের সংগঠন এসসিও-র নেতৃত্বে রয়েছে চীন। সদস্য দেশ হিসেবে ২০১৭ সালে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। চীন, পাকিস্তান ও ভারত ছাড়াও কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও আফগানিস্তান এই সংগঠনের সদস্য দেশ। সংগঠনে রয়েছে চার পর্যবেক্ষক দেশ— আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান ও মঙ্গোলিয়া। এ ছাড়া আলোচনার অংশীদার ছ'টি দেশ হল আজারবাইজান, আর্মেনিয়া, কম্বোডিয়া, নেপাল, তুরস্ক ও শ্রীলঙ্কা।