আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানে মিসাইল ছুড়ে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী প্লেন বি'ধ্ব'স্তের ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। এ ঘটনায় যখন বেশ চা'পে তেহরান তখন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো রাশিয়া। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় পাঁচটি দেশ একজোট হয়েছে ইরানের বি'রু'দ্ধে। রাশিয়া বলছে, ইরান মিসাইল ছোড়ার ঠিকে আগে অন্তত ৬টি মার্কিন যু'দ্ধবিমান হা'মলার উদ্দেশ্যে ইরান সীমান্তে অবস্থান করছিল।
সম্ভাব্য মার্কিন হা'ম'লার ওই খবরে ভ'ড়কে গিয়েই ইরান ভু'লব'শত মিসা'ইল ছুড়ে ইউক্রেনের ওই বিমানটি ভূ'পা'তিত করে বলে জানায় তারা। শুক্রবার মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। লাভরভ বলেন, ইরাকের মার্কিন বিমানঘাঁ'টিতে ইরানের ক্ষে'পণা'স্ত্র হা'ম'লার প্র'তিশো'ধ নিতে সেদিন ইরান সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৬টি অত্যাধুনিক স্টিলথ এফ-৩৫ যু'দ্ধবিমান অবস্থান করছিল। যদিও এ তথ্য আরও যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন আছে।
গত আট জানুয়ারি ভু'লব'শত ইরানের আকাশ প্রতির'ক্ষা ব্যবস্থা থেকে নি'ক্ষি'প্ত ক্ষে'পণা'স্ত্রের আ'ঘা'তে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভূ'পা'তিত হয়। এ ঘটনায় তেহরান থেকে কিয়েভ হয়ে টরেন্টোগামী বোয়িং ৭৩৭ বিমানটির ১৭৬ আরোহীর সবাই প্রাণ হা'রান। হ'তভা'গ্য এসব মানুষের মধ্যে ১৪৭ জনই ইরানি নাগরিক। বাকি ২৯ জন ইউক্রেন, কানাডা, সুইডেন, আফগানিস্তান ও ব্রিটেনের নাগরিক ছিলেন।
ইরানের সশ'স্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের আশপাশে মার্কিন স'ন্ত্রা'সী বাহিনীর জ'ঙ্গিবিমানের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার কারণে ইরানের আকাশ প্রতির'ক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ স'ত'র্ক অবস্থায় রাখা হয়েছিল। এ অবস্থায় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ইরানের একটি স্প'র্শকা'তর স্থাপনার আকাশে চলে আসায় ভু'ল করে সেটি লক্ষ্য করে ক্ষে'পণা'স্ত্র নিক্ষে'প করা হয়। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তার বক্তব্যে প্রকারান্তরে ইরানের সশ'স্ত্র বাহিনীর বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করলেন।
উল্লেখ্য, পাঁচটি দেশ একজোট হয়ে এবার ইউক্রেনের বিমান বি'ধ্ব'স্তের ক্ষ'তিপূরণ চাওয়ায় চ'র'ম কো'ণঠা'সা ইরান। ইউক্রেনের যে বিমানে ইরান মিসা'ইল হা'ম'লা চালিয়েছিল, তার জন্য এ বার তেহরানের কাছে ক্ষ'তি'পূরণ দাবি করা হল। বৃহস্পতিবার লন্ডনে কানাডার দূতাবাসে একজোট হয়েছিলেন কানাডা, ইউক্রেন, সুইডেন, আফগানিস্তান এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা। নিহ'ত যাত্রীদের প্রতি শো'ক প্র'স্তাব জানিয়ে তারা একটি বৈঠক করেন।