এক বছর পর যেন মৃত সন্তানদেরই ‘ফিরে’ পেলেন বাবা-মা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেদিন ছিল ছোট্ট কাইলির পাঁচ বছরের জন্মদিন। মা লোরি, ক্রিস সিন্ডি, দুই ছোট বোন কেটি ও এমার সঙ্গে গাড়িতে কার্নিভালে যাচ্ছিল পুঁচকে কাইলি। চিড়িয়াখানা, ফেয়ারগ্রাউন্ডে রাইড, বার্থডে বয় কাইলির দিনটা হতে চলেছিল স্বপ্নের মতো। হঠাৎই জীবন্ত বিভীষিকার মতো ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ি। এক লহমায় শেষ হয়ে যায় স্বপ্ন।
বাবা ক্রিস যখন ফোন পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন, ততক্ষণে সব শেষ। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে কেটি, এমা। ধীরে ধীরে ওঠানামা করছিল কাইলির বুক। বাঁচার কোনও আশা নেই। করুণ হাতে নিজেরাই লাইফ সেভিং মেশিন বন্ধ করেছিলেন মা, বাবা। ছোট্ট তিনটে কফিনের সামনে বসে ক্রিস-লোরি একে অপরকে প্রমিস করে যাই ঘটুক। তাঁরা আত্মহত্যা করবেন না।
এর পর থেকে দিনগুলো বন্ধ ঘরেই কাটছিল। আশেপাশের বাচ্চাদের কলকল, হাসি, খেলার আওয়াজ শুনলেই বুকের ভিতর যেন শুরু হয়ে যেত রক্তপাত। ইচ্ছা, স্বপ্ন সম্বল করে বছর খানেক পর আবার তাঁরা পা বাড়ান ফার্টিলিটি ক্লিনিকের দিকে।
মিরাকল যেন অপেক্ষা করেই ছিল। একটা নয়। লোরি-ক্রিসের কোল আলো করে এল তিনটি সন্তান। আবারও দুই মেয়ে, এক ছেলে। অ্যাশলে, এলি ও জেককে নিয়ে আবার ভরা সংসার লোরি-ক্রিসের। তাঁরা জানেন কোনও দিনই ফিরবে না কাইলি, কেটি, এমা। তাই ক্রিসমাস উদ্যাপনে তাঁরা পিকনিকে গেলেন গোরস্থানে। একমাত্র ওখানেই যে এক সঙ্গে হতে পারে গোটা পরিবার। সূত্র: আনন্দবাজার
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�