শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:৩২:৪৪

তুরস্কে শ'ক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহ'ত ২১, আহ'ত সহস্রাধিক

তুরস্কে শ'ক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহ'ত ২১, আহ'ত সহস্রাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুক্রবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পটি আ'ঘা'ত হা'নার পর অনেক গুলো আফটার শক অনুভূত হয়। তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্পে নিহ'তের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহ'ত হয়েছে সহস্রাধিক মানুষ। দেশটির কর্তৃপক্ষ এ খবর জানিয়েছে। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল এলাজিগ প্রদেশের সিভরিস শহরে। 

ভূম্পিকম্পের কারণে ভবন ধ'সে পড়ে, যার কারণে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। কম্পন অনুভূত হয়েছে পার্শ্ববর্তী সিরিয়া, লেবানন এবং ইরানেও। তুরস্ক প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমিত শহরে শক্তি'শালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষ মা'রা যায়। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্য ০৮:৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আ'ঘা'ত হানে।

তুরস্কের দুর্যো'গ ও জ'রু'রী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, ভূম্পিকম্প আ'ঘা'ত হানার পর ৬০টি আফটার শ'ক বা প'রাঘা'ত অনুভূত হয়। এটি জানায়, প্রায় ৪০০ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে, যাদের সাথে বাস্তুচ্যুতদের জন্য বিছানা এবং তাঁবু রয়েছে। আফটার শ'কের কারণে বাসিন্দাদের ক্ষ'তিগ্র'স্ত ঘরে ফিরতে নি'ষে'ধ করা হয়েছে। এলাজিগের গভর্নর জানান তার প্রদেশে আট জন মা'রা গেছেন। একইসাথে পার্শ্ববর্তী মালাতিয়া প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছে যে সেখানে ছয় জন মা'রা গেছেন।

টেলিভিশনে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায় যে, ধ্বং'স্তু'পের নিচ থেকে জীবিতদের উ'দ্ধা'রে প্রা'ণপ'ণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জ'রু'রী সেবাদানকর্মীরা। "এটা খুবই ভয়ং'কর ছিল- আসবাবপত্র আমাদের উপর এসে পড়ে। আমরা বাইরে বেরিয়ে আসি," সংবাদ সংস্থা এএফপি ৪৭ বছর বয়সী এলাজিগ শহরের বাসিন্দা মেলাহাত কানের উদ্ধৃতি দিয়ে দিয়ে একথা বলে।

ভূমিকম্পটি যে এলাকায় আ'ঘা'ত হে'নেছে তা রাজধানী আঙ্কারা থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত দু'র্গ'ম এবং জনবি'রল এলাকা হওয়ার কারণে প্রা'ণহা'নি ও ক্ষ'য়ক্ষ'তির খবর আসতে সময় লাগতে পারে। ওই এলাকায় রাতের তাপমাত্রা নিয়মিতভাবে শূন্য ডিগ্রির নিচে নামায় সেখানে বিছানা, তাঁবু এবং কম্বল পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টাইগ্রিস নদীর উত্‍পত্তিস্থল হাজার লেকের পাড়ে অবস্থিত সিভরিস একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা যেখানে প্রায় ৪ হাজার মানুষ বাস করে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে