‘দাউদকে না মেরে মরব না’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজন। সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। তবে অসুস্থতা সত্ত্বেও, নিজের দাপট বহাল রাখতে তত্পর ছোটা রাজন। সূত্রের খবর, অসুস্থ রাজন নাকি বলেছে, দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যা না-করে সে মরবে না। টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত ৯ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ছোটা রাজন। মাঝ সমুদ্রে ডায়ালিসিস চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়ে এই গ্যাংস্টার। জানা গিয়েছে, বুকে ব্যথা এবং নিম্ন রক্তচাপ জনিত সমস্যা শুরু হওয়ার ৬ ঘণ্টা পরে তাকে সমুদ্র থেকে বের করে আনা হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছোটা রাজনের ম্যানেজার এবং সহযোগী আবু সাওয়ান্ত তার দেখভাল করছে। ২০০৬ সালে মুক্তিপণ এবং হাওয়ালা মামলায় নাম জড়ানোর পর ভারত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ছোটা রাজন। এ মামলায় মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ তার স্ত্রী সুজাতা-সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। মকোকা আদালতে এই মামলা চলছে।
নিজের এক বন্ধুকে রাজন জানায় যে, নিজের বিরোধী এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে না-মেরে সে মরবে না। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের পর থেকে তাদের মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ছোটা রাজনের শরীরে বিভিন্ন অংশ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। হার্ট অ্যাটাকও হয়েছে তার।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে ব্যাঙ্ককে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম গ্যাংয়ের হামলায় ৫৯ সালের এই গ্যাংস্টার প্রাণে বেঁচেছিল। একাধিক গুলি লাগে তার শরীরে। তখন থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ইনফেকশানের কারণে ২০০১ সাল থেকেই ছোটা রাজনের কিডনি সমস্যা দেখা দেয়।
ব্যাঙ্কক অথরিটি তাকে ভারতের হাতে তুলে দেবে, এই ভয়ে সে সঠিক চিকিত্সাও করায়নি। রাজনের স্ত্রী সুজাতা নিখলজে কয়েক দিন আগেই বম্বে হাইকোর্ট থেকে ইউরোপের ভিসা নেন। সেখানে তার বড় মেয়ে অনিতা পড়াশোনা করছে। প্রায় দু'মাস আগে রাজনের মা লক্ষ্মীবাই নিখলজের মৃত্যু হয়।
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�