বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০৭:৫৯:৩০

অযোধ্যাতেই হচ্ছে বাবরি মসজিদ! জায়গা নির্ধারণ করলো সরকার

অযোধ্যাতেই হচ্ছে বাবরি মসজিদ! জায়গা নির্ধারণ করলো সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুধবার সকালেই সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করছে তার সরকার। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় মোতাবেক উত্তরপ্রদেশ সরকার মসজিদের জন্যও জমি চিহ্নিত করছে। 

দুপুরের পর জানা গেল, কোথায় মসজিদ হবে তার জমি ঠিক করে ফেলেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সুপ্রিম কোর্ট গত ৯ নম্ভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দিয়ে বলে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি মসজিদ তৈরির জন্য দিতে হবে। অযোধ্যার মন্দির এলাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে জায়গা পাকা করে ফেলেছে যোগী সরকার। 

উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, জেলা সদর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে ধনিয়াপুর এলাকায় মসজিদের জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। অযোধ্যার ওই এলাকায় টানা ১৮ কিলোমিটার জুড়ে শুধু মন্দির আর মন্দির। এই গোটা জায়গাটিকে '১৪ কোশি পরিক্রমা' বলা হয়। আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দলের মতো একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি ছিল, হিন্দু সংস্কৃতি এলাকার বাইরে মসজিদ করতে হবে। কোনও ভাবেই ওই এলাকায় তা করা যাবে না। 

মনে করা হচ্ছে, সে কারণেই মূল জায়গা থেকে এতটা দূরে জমি চি'হ্নিত করল যোগী সরকার। সুপ্রিম কোর্টের তত্‍কালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল। তাতে বলা হয়, অযোধ্যায় মসজিদ কোনও ফাঁকা জমির উপর নির্মিত হয়নি। পুরাতত্ত্ব বিভাগ তাদের যে রিপোর্টে জানিয়েছিল, তাতে উল্লেখ ছিল ওই বি'ত'র্কি'ত জমিতে তার আগে একটি কাঠামো ছিল। যা সম্ভবত দ্বাদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। পুরাতত্ত্ব বিভাগ বলে, ওই কাঠামো ইসলা'মিক ধাঁচের নয়। তবে তা যে মন্দিরই ছিল তাও বলা হয়নি রিপোর্টে।

১৯৯২ সালে মসজিদ ভেঙে দেওয়ার পর নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঠিকই কিন্তু তার মানে এই নয় যে মসজিদের দাবি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আইনি লড়া'ইয়ে নেমেছিল একাধিক ইসলামিক সংগঠন। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যা'লেঞ্জ করেও রিভিউ পি'টিশন দা'খিল হয়েছিল। কিন্তু তা খা'রিজ করে দেয় ভারতের শীর্ষ আদালত। এখন দেখার প্রস্তাবিত জমিতে মসজিদ করার ব্যাপারে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড রাজি হয় কি না।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে