আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে করোনাভাইরা'সের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নিজেই আ'ক্রান্ত হয়ে মা'রা গেলেন সং ইংজি নামে একজন চিকিৎসক। ১০ দিনের নিরবচ্ছি'ন্ন লড়া'ইয়ের পর হঠাৎ হৃদ'যন্ত্র বন্ধ হয়ে মা'রা যান ২৭ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক।
জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি থেকে একটানা কাজ করার পর সোমবার তিনি মা'রা যান। সে দেশে মোট ৫৬৩ জনের প্রা'ণহা'নির খবর পাওয়া গেল। এছাড়া ২৮ হাজার ১৮ জন করোনাভাইরা'সে আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন।
যদিও চীনে নিহ'ত ও আ'ক্রা'ন্তে'র এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে। কারণ, সে দেশের সরকার করোনাভাইরা'স নিয়ে নেতিবাচক কোনো খবর প্রকাশ করতে চায় না।
জানা গেছে, মা'রা যাওয়া তরুণ চিকিৎসক সং ইংজি চীনের হুনান শহরের গাড়িচালকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। করোনাভাইরা'সের বিরু'দ্ধে ল'ড়াইয়ে নিজের জীবন উৎসর্গের জন্য বীর হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।
চীনের হেংশান প্রদেশের কাইয়ুন শহরের বাসিন্দা ছিলেন সং। তার দুই বছরের বড় বোনকে উহান শহরে দুই সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা আছে।
এদিকে করোনাভাইরা'সের চিকিৎসায় কার্যকরী ওষুধ নিয়ে চীনা গবেষকদের দাবি উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এর টিকা আবিষ্কার নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের দাবিও নাকচ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচও বলছে, এখন পর্যন্ত এর কোনো বিশেষায়িত চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। ডব্লিউএইচও এর মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক বলেন, ২০১৯-এনসিওভি ভাইরা'সে আ'ক্রা'ন্ত হলে এর কোনো বিশেষায়িত চিকিৎসা পদ্ধতি নেই।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরা'স ২৪টি দেশে আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৯ হাজার । করোনাভাইরা'স মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্র'মণ ঘটায়। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃ'ত্যু।
প্রাণ সংহা'রক এই ভাইরা'স নিয়ে আ'তঙ্ক বাড়তে থাকার মধ্যে চীনের একটি গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই রোগের চিকিৎসার ওষুধ পেয়েছেন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের স্কাই নিউজে একদল গবেষক দাবি করেন, করোনাভাইরাসে'র টিকা আবিষ্কারে ‘বিশেষ অগ্রগতি’ পেয়েছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনও তৈরি না হওয়ায় আপাতত নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায় হল, যারা আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন বা এ ভাই'রাস বহন করছেন- তাদের সং'স্পর্শ এড়িয়ে চলা।
আর হাসপাতালে ভর্তি হলে রোগীর মধ্যে যে উপস'র্গগুলো আছে, সেগুলো সারাতেই মূলত চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোগীর স্বাভাবিক রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষমতাই ভাইরা'সকে প্র'তিহ'ত করতে চেষ্টা চালাতে থাকে।