আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার ক'বল থেকে পাকিস্তানি পড়ুয়াদেরও সরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। তবে তা নিয়ে ইসলামাবাদের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি। শুক্রবার ভারতের রাজ্যসভায় এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এ দিন রাজ্যসভায় করোনা ভাইরাস নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিজেপি সাংসদ রূপা গাঙ্গুলীর একটি প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ''আমাদের দু'টি বিমান যখন উহানের উদ্দেশে রওনা হচ্ছিল, তখনই নিজেদের পড়ুয়াদের সঙ্গে পড়শি দেশের পড়ুযাদেরও ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত ছিলাম আমরা। সেইসময় সব প্রতিবেশী দেশকেই তা জানানো হয়েছিল, যার মধ্যে মালদ্বীপের ৭ নাগরিকই আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন।''
এখনও পর্যন্ত ৮০ জন ভারতীয় পড়ুয়া উহানে রয়েছেন। তা নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ''এখনও উহানে ৮০ জন ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন বিমানবন্দর পর্যন্তও এসেছিলেন। কিন্তু গায়ে জ্বর থাকায় তাদের বিমানে ওঠার অনুমতি দেয়নি চিন। বাকি ৭০ জন উহানেই থাকতে চেয়েছিলেন। চিনে ভারতীয় দূতাবাস ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। পরি'স্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।''
উহানে আ'টকে থাকা পড়শি দেশের নাগরিকদেরও সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানান ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি বলেন, ''করোনা মোকা'বিলা করতে অন্য দেশগুলিকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছি আমরা। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিকে নমুনা সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছে পরীক্ষা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ। মালদ্বীপের নাগরিকদের রক্তের নমুনা ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে। আফগানিস্তানের তরফে অনুরোধ এসেছে। ভূটানকেও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি আমরা।''
দু'টি বিমান পাঠিয়ে এখনও পর্যন্ত উহান থেকে ৬৫৪ জনকে উ'দ্ধা'র করেছে ভারত, যার মধ্যে মলদ্বীপের ৭ নাগরিকও রয়েছেন। তবে বহু পাকিস্তানি পড়ুয়া এখনও উহানেই আ'টকে। দেশের প্রয়োজনীয় চিকিত্সা ব্যবস্থা নেই বলে তাদের সেখানেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। তা নিয়ে নিজের দেশেই ক্ষো'ভের মুখে পড়েছে ইমরান খান সরকার।