আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অ্যাপ ভি'ত্তিক রাইড শেয়ার উবার ডেকেছিলেন সমাজকর্মী বাপ্পাদিত্য সরকার। গাড়ি আসার পর সেটিতে উঠে মোবাইলে কথা বলতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন উবার চালক। ভারতের সংশো'ধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে কথা বলায় বাপ্পাদিত্যকে পুলিশের হাতে তুলে দেন উবার চালক।
গত বুধবার ঘটনা মুম্বাইয়ের এ ঘটনাটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, উবারের একটি গাড়িতে ওঠার পর মুঠোফোনে সিএএ'র বি'রু'দ্ধে কথা বলছিলেন বাপ্পাদিত্য। কথাগুলো শোনার পর উবার চালক মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে দেন। এটিএম থেকে টাকা তুলতে যাওয়ার কথা বলে কিছুক্ষণ পর দুই পুলিশ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসেন তিনি। উবারের গাড়িতে বসেই সমাজকর্মী বাপ্পাদিত্যকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞা'সাবাদ করে পুলিশ।
পরে রাত ১টায় পরিচিত একজন এসে বাপ্পাদিত্যকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনা নিয়ে একটি টুইট করেন বাপ্পাদিত্য সরকার। টুইট পোস্টে তিনি লেখেন, বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি জুহু থেকে কুর্লায় যাওয়ার জন্য উবারের একটি ক্যাবে ওঠেন। ট্যাক্সিতে বসেই তিনি তার বন্ধুর (মোবাইল ফোনে) সঙ্গে দিল্লির শাহিনবাগের প্রতিবা'দে ‘লাল সালাম’ স্লো'গা'ন ওঠা নিয়ে মানুষের অস্ব'স্তির বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। কথোপকথন শুনে পুলিশ ডেকে আনেন ওই উবারচালক।
পুলিশ তাকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞা'সাবাদ করে। বাপ্পাদিত্য জানান, যে তিনি জয়পুর থেকে এসেছেন এবং দিনের শুরুতে মুম্বাই বাগের সিএএবিরো'ধী বিক্ষো'ভেও যোগ দিয়েছিলেন। ওই উবার চালক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, 'তিনি বলছিলেন, তিনি একজন বামপন্থি। তিনি দেশকে জ্বালিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন এবং মুম্বাইয়ে শাহিনবাগের আদলে আরও একটি আন্দোলন শুরুর কথা বলছিলেন। তিনি বাপ্পাদিত্যর কথোপকথনও রেকর্ড করেছেন। পুলিশকে ওই আলাপ শোনার জন্য অনুরোধও করেন তিনি।