আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 'বিদ্রো'হ আর প্রেমের দিব্যি/ শুধু তোমাকেই চাই।' স্লো'গা'ন দিতে দিতে বোধহয় এক ফাঁকে এমন কথাই একে অপরের চোখে চোখ রেখে বলে ফেলেছিল। সেই কথাগুলো ছড়িয়ে পড়ে দ্রো'হস্থলে ফুটেছিল প্রেমের ফুল। আন্দো'লনের মঞ্চে হয়ে উঠেছিল মিলনস্থল। সংশো'ধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরো'ধিতায় শাহিনবাগ যেমন একটা আন্দো'লনের জন্ম দিয়েছে, তেমনই লিখেছে প্রেমের কাহিনিও।
প্রতিবাদী জিশান-আয়েষা কিংবা জুনেদ-সামা একে অপরের প্রেমে পড়েছে, এক থেকে দুই হয়েছে, আবার দুই হৃদয় মিলে হয়েছে এক। তবু শাহিনবাগের এসব প্রেমকাহিনি প্রচারের আলোয় অনেকটাই ম্লা'ন। নাগরিকত্ব আইন বিরো'ধী আন্দো'লনে প্রায় মাস দেড়েক ধরে দিল্লির শাহিনবাগ হয়ে উঠেছে প্রতিবা'দের মূল মঞ্চ। লাগাতার ধরনা, অনশন চলছে। সেখানে দেখা হয়েছিল জিশান আর আয়েষার।
যদিও একে অন্যকে আগে থেকেই চিনতেন, তবু এখানে এসে যেন নতুন করে সবটা শুরু হল। উভয়ে উভয়ের আরও কাছাকাছি এসেছেন। হৃদয় বিনিময়ের পর বিয়ের বাঁধনেও বাঁধা পড়েছেন দোঁ'হে। ৮ তারিখই আল্লার নামে শপথ নিয়ে বিয়ে করেছেন জিশান আর আয়ে'ষা। এও এক শাহিনবাগ! জিশান-আয়েষার মতো ডাক্তারির পড়ুয়া জুনেদ আর সামার জীবনও শাহিনবাগ থেকে ঘুরে গিয়েছে প্রেমের পথে।
বড়দের সঙ্গে তারাও শামিল হয়েছিল প্রতি'বাদে। রোজ রোজ সেখানে যেতে যেতেই একে অপরের সঙ্গে আলাপ। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব, প্রেম। একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করেছে। দুই তরুণ-তরুণীর এই সম্পর্কে কোনও আপ'ত্তি নেই পরিবারেরও। শাহিনবাগের আন্দোলন নিয়ে কত জনের কত কটা'ক্ষ, স'মালো'চনা।
কতশত পোস্টে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ার পাতা। শাস'কদলের নেতা, মন্ত্রীদের এই অ'ভিযো'গও শোনা গিয়েছে যে শাহিনবাগ আসলে সন্ত্রা'সবা'দী, আ'ত্মঘা'তী জ'ঙ্গিদের জন্ম দিচ্ছে। কিন্তু আসলে শাহিনবাগের মাটি থেকে ঠিক কী কী সৃষ্টি হয়ে গেল, আন্দোলনের গভীরের সেই খোঁ'জ হয়ত রাখেনি কেউ।