আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ের আসর থেকে প্রথমে বরকে ধা'ওয়া, আর তারপর বেধ'ড়ক মা'রধ'র করেছে হবু শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা। বিয়ের কিছুক্ষণ আগে বিয়ে বাড়িতে তার আগের এক স্ত্রী হাজির হয়ে, তার আরো দুটি স্ত্রী আছে- এমন তথ্য দেয়ার পর পরই বি'ক্ষু'ব্ধ লোকজন তাকে ধা'ওয়া করে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের করাচিতে।
আসিফ রফিক সিদ্দিকী নামে ৩০ এর কোটায় ওই ব্যক্তিকে মা'রধ'র করার সময় তার শার্ট ও প্যান্ট ছিঁ'ড়ে যায়। মা'রধ'রের এক পর্যায়ে একটি থেমে থাকা বাসের নিচে গিয়ে আশ্রয় নেয় সে। পরে তাকে উ'দ্ধার করে এলাকাবাসী। পাকিস্তানে বহুবিবাহ আইনত অ'বৈ'ধ নয়।
একজন পুরুষ চারটি পর্যন্ত বিয়ে করতে পারে, কিন্তু এক্ষেত্রে নতুন বিয়ে করার আগে তাকে আগের স্ত্রীদের অনুমতি নিতে হয়। ধারণা করা হচ্ছে যে, রফিক সিদ্দিকী হয়তো ঐ শ'র্ত মানেন নি। করাচিতে নতুন বিয়ের অনুষ্ঠানে অ'ভিযু'ক্ত ব্যক্তির আগের স্ত্রী এসে হাজির হওয়ার পরই তার নতুন স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা প্রথমবার আগের স্ত্রীদের সম্পর্কে জানতে পারে।
বিয়ের এক ভিডিওতে দেখা যায় যে, নতুন স্ত্রীর এক আত্মীয় এসে বিয়েতে উপস্থিত হওয়া সাবেক স্ত্রীকে জি'জ্ঞা'সা করে, "কী হয়েছে বোন?" আর এক মুহূর্ত দেরি না করেই আসল কথা বলে ফেলেন মাদিহা সিদ্দিকী নামে ওই নারী। ঐ নারী অভিযোগ করেন, "উনি আমার স্বামী আর এই শিশুর বাবা। উনি আমাকে বলেছিলেন যে, তিনি তিন দিনের জন্য হায়দ্রাবাদ যাচ্ছেন।"
ওই নারীর সাথে ছোট একটি শিশুও ছিল যাকে তাদের সন্তান বলে দাবি করেন তিনি। পরে ওই নারীকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি তার আরো আত্মীয়দেরও পরিচয় দেন। নব বিবাহিত কনের সরাসরি মুখোমুখি হওয়ার আগে মিসেস সিদ্দিকী জানান, "ইনি আমার শাশুড়ি এবং ইনি আমার জেঠানি। আপনি জানতেন না যে উনি আমার স্বামী? এমনকি সে এই নিষ্পাপ বাচ্চাটারও পরোয়া করে না।"