আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পঙ্গপালের আ'ক্র'মণের শি'কার হয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের প্রায় সব কয়টি অঞ্চলেই হা'না দিয়েছে পঙ্গপালরা। পঙ্গপালের আ'ক্র'মণে ইতোমধ্যে দেশটির জাজান, আসির, আল-বাহা, আল-লেখ, কুনফোদাহ ও মক্কার ফসল ক্ষ'তিগ্র'স্ত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সৌদি সংবাদ মাধ্যম আরব নিউজ এ খবর দিয়েছে।
সৌদি আরবের পরিবেশ, কৃষি এবং পানি মন্ত্রণালয়ের পঙ্গপাল ও প্লে'গের বিরু'দ্ধে ল'ড়াই চা'লিয়ে যাওয়া বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ আল শামমারি বলেন, পূর্ব আফ্রিকা থেকে এই পঙ্গপাল এসেছে। আমরা জানুয়ারির শুরু থেকে প্রতিদিন পঙ্গপালের সাথে ল'ড়াই করেছি। ঝাঁকের প্রথম প্রজ'ন্মকে নির্মূ'ল করেছি, যা মক্কা অঞ্চলে জাজানকে আ'ক্র'মণ করেছিল। আমরা কুনফোদাহ ও আল-লেইথে দুঝাঁ'ক পঙ্গপাল ল'ক্ষ্য করেছিলাম।
এর আগে, পঙ্গপালের হা'নায় আফ্রিকার সোমালিয়া, ইথিওপিয়া এবং কেনিয়াসহ কয়েকটি দেশের ফসলী জমি উজা'ড় হয়ে যায়। পাকিস্তান থেকে ঝাঁ'কে ঝাঁ'কে পঙ্গপাল ছ'ড়িয়ে পড়েছিল ইয়েমেনে। আর সেখান থেকে লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে এসব কী'ট আফ্রিকার ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, সোমালিয়ায় ঘাঁ'টি গাঁ'ড়ে।
বিশেষ'জ্ঞরা বলছেন, পূর্ব আফ্রিকা থেকে আসা এসব পঙ্গপাল ইতিমধ্যে সৌদির বেশ কয়েকটি অঞ্চলের ফসল ক্ষ'তিগ্র'স্ত করেছে। সৌদির মরুতে পঙ্গপালের দ্রু'ত বিস্তা'র ঘ'টবে বলেও আশ'ঙ্কা প্রকা'শ করছেন বিজ্ঞানীরা।
তারা বলছেন, সৌদির আবহাওয়া পঙ্গপালের বং'শবৃ'দ্ধির জন্য অত্য'ন্ত উপযু'ক্ত। এছাড়া এসব পতঙ্গের ডিম দেয়ার সময় হয়ে এসেছে। দ্রু'ত এদের বিস্তা'র রো'ধ করা না গেলে সম'স্যা আরো বা'ড়বে।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ জর্ডান পঙ্গপালের কারণে জ'রুরি অব'স্থা ঘো'ষণা করেছে। সৌদি আরব থেকে আসা পঙ্গপালই সেখানে তা'ণ্ডব চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়। যে কোনো সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ইসরায়েলেও পঙ্গপাল প্রবেশ করবে বলে ধা'রণা করা হচ্ছে।
হঠাৎ করে পঙ্গপালের আ'ক্র'মণ বে'ড়ে যাওয়ার পেছনে অস্বা'ভাবিক ভাবে বিশ্ব জলবায়ু পরিব'র্তনকে দা'য়ী করছেন অনেকেই।
এবার প্রথমবারে মতো পঙ্গপালের তা'ণ্ডব শুরু হয় পাকিস্তানে। গত ২০ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বড় পঙ্গপালের আ'ক্র'মণে পড়েছে পাকিস্তান। দেশজুড়ে জরু'রি অব'স্থা জারি করেছে পাক সরকার। পঙ্গপালের ঝাঁ'ক দেশটির তুলা, গম, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের ব্যা'পক ক্ষ'তি করছে। দেশটির সীমা'ন্তবর্তী ভারত-চীনেও ক্ষ'তিকর এই পো'কা প্রবেশের জো'র সম্ভা'বনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষ'জ্ঞরা।
উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে, একা থাকলে এই পতঙ্গ বেশ নিরীহ প্রাণী, কিন্তু দলব'দ্ধ অবস্থায় এরা হয়ে ওঠে বি'ধ্বং'সী।
জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকা'লচার অর্গানা'ইজে'শন- ফাও বলছে, এক বর্গকিলোমিটার আকারের পঙ্গপাল একসঙ্গে যে খাবার খায় তা দিয়ে ৩৫ হাজার মানুষকে এক বছর খাওয়ানো সম্ভব। একটি বড় পঙ্গপালের ঝাঁ'ক দিনে ১২০ মাইল পর্যন্ত জমির ফসল খেয়ে ফে'লতে পারে। কেবল খাবারই খায় না তারা, একই সঙ্গে প্র'জ'ননের কাজটিও করে।