শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০৭:২৮:৩৩

ছেলে অত্যা'চারে বাড়িছাড়া, প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আর্জি বৃদ্ধ দম্পতির

ছেলে অত্যা'চারে বাড়িছাড়া, প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আর্জি বৃদ্ধ দম্পতির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পঞ্চায়েত অফিস, থানা, মহকুমাশাসকের দফতর— সর্বত্র ঘুরছেন বয়স্ক দম্পতি। একটাই আর্জি, ''ছেলেকে একটু আটকে রাখুন, ওর চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। না হলে ওর অ'ত্যা'চারে আমরা মারা যাব।'' ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ক্যানিংয়ের মাতলা ২ পঞ্চায়েতের থুমকাঠি গ্রামের বাসিন্দা রণজিৎ রাজ ও প্রমিলা রাজ। 

আশি ছোঁয়া রণজিৎ লাঠি নিয়ে চলাফেরা করেন। স্ত্রীর বয়সও সত্তর পেরিয়েছে। দম্পতির দুই ছেলে। বড় ছেলে সীতা হরিনাম করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। কখনও বাড়ি আসেন, কখনও আসেন না। ছোট ছেলে কৌশিক মান'সিক ভা'রসা'ম্যহী'ন। তাকে নিয়েই সম'স্যা বাবা-মায়ের। ছেলে নানা ভাবে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপরে অ'ত্যা'চার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। 

কার্যত পথে পথে ঘুরছেন দম্পতি। বাড়িতে ঢুকলেই ছেলে লাঠিসোঁটা নিয়ে বাবা-মাকে মা'রতে তে'ড়ে আসছেন। কী ভাবে সম'স্যার হাত থেকে প'রিত্রা'ণ পাবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না রণজিৎরা। বিশ বছর আগে ছোট ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন তারা। বিয়ের পরে সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু ৬ বছরের মাথায় স্ত্রীর সঙ্গে গো'ল'মালের জে'রে বি'ষ খেয়ে আ'ত্মহ'ত্যার চেষ্টা করেন কৌশিক। প্রাণে বাঁচলেও মান'সিক ভার'সাম্য হা'রিয়ে ফেলেন কৌশিক। 

বিগত দশ বছরের বেশি সময় ধরে ছোট ছেলেকে বিভিন্ন মান'সিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছেন মা। চিকিৎসকের পরামর্শে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিলেন কৌশিক। কিন্তু গত কয়েক মাসে বেড়েছে সম'স্যা। এই পরি'স্থিতিতে একদিকে ছেলের সঠিক চিকিৎসা করাতে না পেরে দু'শ্চি'ন্তার বৃদ্ধ দম্পতি। অন্য দিকে ছেলের অ'ত্যা'চারে কা'র্যত বাড়িছাড়া হয়ে থাকতে হচ্ছে।

সোমবার নিজেদের সম'স্যা জানাতে ক্যানিং থানায় এসেছিলেন তারা। পুলিশ তাদের জানায়, মান'সিক ভার'সাম্য'হীন একজন রোগীকে থানায় আ'টকে রাখা সম্ভব নয়। ছেলের চিকিৎসার জন্য ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসকের দফতরে যোগাযোগ করতে বলা হয় থানা থেকে। সেখানে পৌঁছান রণজিৎরা। মহকুমা শাসকের সাথে দেখা না হলেও অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনার কথা শুনে এ বিষয়ে মহকুমা শাসকের কাছে একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। 

এ সব করে আদৌ সম'স্যা মিটবে কিনা, তা অবশ্য জানেন না দম্পতি। রণজিৎ বলেন, ''কেউ যদি ওর একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করত, তা হলে সুস্থ হয়ে যেত। কত জায়গায় তো ঘুরলাম, কিছুই সুরাহা হল না।'' এ বিষয়ে ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক বন্দনা পোখরিয়াল বলেন, ''এ ধরনের আবেদনপত্র জমা পড়লে নিশ্চয়ই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।'' সূত্র : আনন্দবাজার 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে