শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০৮:৪৭:২৭

বেসামাল দক্ষিণ কোরিয়া, সন্দেহের তীর এক ধর্মীয় গোষ্ঠীর দিকে

বেসামাল দক্ষিণ কোরিয়া, সন্দেহের তীর এক ধর্মীয় গোষ্ঠীর দিকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের পর এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাই'রাসের আ'ত'ঙ্ক প্র'ক'ট আকার ধারণ করছে। শনিবার নতুন করে ২২৯ জনের শরীরে করোনা ভাই'রাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পর দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন মন্ত্রী কিম গ্যাং-লিপ বলেছেন, পরিস্থিতি ''গু'রু'তর পর্যায়ে মোড় নিয়েছে।''

চীনে যেমন উহান শহরকে করোনা ভাই'রাসের উৎপত্তিস্থল হিসাবে দেখা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনি দক্ষিণাঞ্চলীয় পাশাপাশি দুটো শহরকে- দেগু এবং চোংডো - ভাই'রাস ছড়ানোর সূত্র হিসাবে দেখা হচ্ছে এবং সন্দে'হের তীর গিয়ে পড়েছে ঐ অঞ্চলের শিনচিওঞ্জি নামে ক্ষুদ্র একটি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের দিকে।

বলা হচ্ছে দেগু এবং চোংডোতে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর কয়েকশ সদস্য ভাই'রাসে আ'ক্রা'ন্ত হওয়ার উপ'সর্গের কথা জানানোর পরই তাদের অনেকের শরীরেই প্রথম করোনা ভাই'রাস পাওয়া যায়। তারপর থেকে নতুন করে ভা'ইরাস আ'ক্রা'ন্তের যেসব রোগী মিলছে তাদের সিংহভাগই চোংডো শহরের দেনাম নামের একটি হাসপাতালে। 

এই একটি হাসপাতালেই এখন পর্যন্ত ১১৪ জনের শরীরে করোনা ভাই'রাস পাওয়া গেছে। একইসাথে দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা ভাই'রাস আ'ক্রা'ন্তদের অধিকাংশই শিনচিওঞ্জি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুসারী। শনিবার পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে যে ৪৩৩ জন আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন, তাদের ২৩১ জন অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের সদস্য।

গতকালই (শুক্রবার) সরকার শিনচিওঞ্জি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নয় হাজারেরও বেশি সদস্যকে পারবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘরের মধ্যে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞা'সাবাদ করে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে, কার সূত্রে তাদের এই সম্প্রদায়ের এতজন সদস্য করোনা ভাই'রাসে আ'ক্রা'ন্ত হলেন।

তবে জানা গেছে, চোংডোতে দিন পনের আগে শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতার ভাইয়ের মৃ'ত্যুর শেষকৃত্যে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। তারপরই ঐ সম্প্রদায়ের পাঁচশরও বেশি অনুসারী ভাই'রাসে আ'ক্রা'ন্ত হওয়ার নানা উপসর্গের কথা জানায়। দেগু এবং চোংডো এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা জা'রী করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ এই দুই শহরের লোকজনকে জরু'রী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। দেগু দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর। ২৫ লাখ জনসংখ্যার এই শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত দুদিন ধরে রাস্তায় মানুষজন বলতে গেলে চোখেই পড়ছে না। দেগুর একজন বাসিন্দা বলেন, তার ভয় হচ্ছে যে দেগুর পরিণতি যেন চীনের উহান শহরের মতো না হয়।

ওদিকে, শুক্রবার আরও একজন সেনা সদন্য করোনা ভাই'রাসে আ'ক্রা'ন্ত হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার সেনাদের সেনা ছাউনির বাইরে আসা আপাতত নি'ষি'দ্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাই'রাসে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে দুই জনের মৃ'ত্যুর খবর নি'শ্চিত করা হলেও, মৃ'তের সংখ্যার বাড়বে বলে আ'শ'ঙ্কা প্র'ব'ল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে