শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০৯:৪৭:০৪

মাতৃস্পর্শেই খুললো চোখ, দুর্ঘ'টনার এক সপ্তাহ পর 'মা' ডাকল শিশু

মাতৃস্পর্শেই খুললো চোখ, দুর্ঘ'টনার এক সপ্তাহ পর 'মা' ডাকল শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হার মেনেছে সহযো'দ্ধা। এখনও মৃত্যুর সঙ্গে ল'ড়াই করে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের হুগলির পোলবার পুলকার দু'র্ঘ'টনায় জ'খ'ম স্কুল ছাত্র দিব্যাংশু। তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ক্র'ম'শই। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে ছয় বছরের শিশু। সূত্রে খবর, ঠিক এক সপ্তাহ পর শুক্রবার রাতে মায়ের সঙ্গে কথা বলে দিব্যাংশু। ছেলের মুখ থেকে মা ডাক শুনে স্বস্তিতে ছাত্রের মা।

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলকারে চড়ে স্কুলে যাচ্ছিল দিব্যাংশু। তার পুলকার দুর্ঘ'টনার ক'বলে পড়ে। পোলবার কাছে দিল্লি রোডে তাদের গাড়ি পোস্টে ধা'ক্কা মে'রে নয়ানজুলিতে উলটে যায়। ফুসফুসে কাদাজল ঢুকে যায় শিশুর। তাকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা আ'শ'ঙ্কাজনক হওয়ায় এসএসকেএমের ট্র'মা সেন্টারে স্থা'না'ন্তরিত করা হয় দিব্যাংশুকে। 

গ্রিন করিডরের মাধ্যমে এক ঘণ্টারও কম সময় এসএসকেএমে পৌঁছায় সে। ভে'ন্টিলেশনে রাখা হয় তাকে। তবে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় দিব্যাংশুর। বৃহস্পতিবার আংশিক ভেন্টিলেশন সরিয়ে দেওয়া হয় তার। কৃত্রিম উপায় ছাড়া নিজেই শ্বাস নিতে পারছে দিব্যাংশু। আপাতত পর্যবে'ক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার ওয়ার্ডে ঢুকে দিব্যাংশুর সঙ্গে দেখা করেন তার মা রিমা ভগত। ছেলের বুকে হাত রেখে ডাকনাম ধরে ডাকেন তিনি। মাতৃস্পর্শেই সাড়া দেয় দিব্যাংশু। 'মা' বলে ডাকেও সে। ছেলের শারীরিক উন্নতি হওয়ায় যথেষ্ট খুশি দিব্যাংশুর মা। তিনি বলেন, ''ওয়ার্ডে ঢুকে ওর গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দিই। একটু ডাকতেই ও আমার দিকে তাকায়। আমি বলি 'মা' বলে ডাকতে। ও আমার দিকে তাকায়। 'মা' বলে ডাকে।'' 

ছেলের মুখ থেকে আবারও 'মা' ডাক শুনতে পেয়ে বেজায় খুশি ছাত্রের মা। তবে ছেলের বন্ধু ঋষভের মৃ'ত্যুতে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি দিব্যাংশুর বাবা-মা দুই জনেই। শনিবার সকালে এসএসকেএমে ঋষভের বাবার সঙ্গে দেখা করেন দিব্যাংশুর বাবা। সন্তা'নহা'রা বাবাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে কা'ন্নায় ভে'ঙে পড়েন তিনিও।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে