আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিল্লি পুলিশ গত রবিবার ৬টি সতর্কবার্তা পেয়েছিল। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র উত্তরপূর্ব দিল্লির মৌজপুরে জমায়েতের ডাক দেওয়ার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের জন্য বলা হয়েছিল। সেই সন্ধ্যাতেই গ'ণ্ডগো'ল শুরু হয়, যা তার পরেরদিন স'হিং'স হয়ে উঠে। স'তর্কবা'র্তা থাকা সত্ত্বেও প'রিস্থি'তি হাতের বাইরে চলে যাওয়া আটকাতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
সূত্রের দাবি, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ ও গোয়েন্দা বিভাগ বারবার রেডিও মেসেজে উত্তরপূর্ব দিল্লি প্রশাসন ও পুলিশকে স'তর্কবা'র্তা পাঠিয়েছিল। দুপুর ১.২২-এ টুইট করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বিকেল ৩টায় দিল্লির মৌজপুর চকে জমায়েতের ডা'ক দিয়েছিলেন কপিল মিশ্র। এই টুইটের ঠিক পরেই প্রথম সতর্কবার্তাটি পাঠিয়ে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন কথা বলা হয় দিল্লি পুলিশকে।
ঝা'মেলা হতে পারে আঁ'চ করতে পেরে স্থানীয় পুলিশকে ন'জরদারি বাড়ানোর কথা বলেছিল গোয়েন্দা দফতর। এরপর পাথর ছো'ড়ার ঘটনা শুরু হলে ফের সতর্কবার্তা পাঠানো হয় বলে দাবি সূত্রের। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিশ্র যাতে তাড়াতাড়ি ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, তার জন্য এক শীর্ষ অফিসার তার সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বি'রোধী'রা তার সমর্থকদের লক্ষ করে পা'থর ছু'ড়তে থাকে। পালটা জবাব দেয় আ'ক্রা'ন্তরা। যদিও খুব কম সময়ের মধ্যেই প'রিস্থি'তি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে বাস্তবে যে তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তা বোঝা যায় সোমবার। রবিবার জাফরাবাদে পুলিশকে আল'টিমেটা'ম দিয়ে কপিল বলেছিলেন, তিনদিনের মধ্যে বি'ক্ষো'ভকারী'দের অ'বরো'ধ সরিয়ে দিতে হবে। সেই মন্তব্যের ভি'ডিও ছ'ড়িয়ে প'ড়ার পরই আগু'নে 'ঘি পড়ে বলে অনেকের মত। হিং'সার ঘটনায় পরপর মৃ'ত্যুর ঘটনা ঘটে রাজধানীতে। নিহ'ত হন ৩৪ এবং আহ'ত হন ২৫০-রও বেশি মানুষ। সূত্র: এই সময়