বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০৯:০২:১৯

দিল্লীতে মুসলিম বিদ্বে'ষী দা'ঙ্গাবা'জদের হাত থেকে রেহাই পাননি অন্তঃসত্ত্বা রুবিনাও!

দিল্লীতে মুসলিম বিদ্বে'ষী দা'ঙ্গাবা'জদের হাত থেকে রেহাই পাননি অন্তঃসত্ত্বা রুবিনাও!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির সা'ম্প্রদা'য়িক দা'ঙ্গায় নি'র্দো'ষ বেশ কিছু নারী, পুরুষ এবং শিশু ভ'য়াব'হ মা'রধ'রের শি'কা'র হয়েছেন। নাগরিকত্ব সংশো'ধনী আইনের পক্ষে-বি'পক্ষের বিক্ষো'ভে অংশ না নিলেও ধ্বং'সয'জ্ঞের মাঝে পড়ে নি'পী'ড়নের শি'কার হওয়ার ঘটনা ভুলতে পারছেন না অনেকে। 

নি'র্দো'ষ হয়েও মুসলিমবি'দ্বে'ষী ক'ট্ট'র দা'ঙ্গাবা'জদের হাত থেকে রেহাই পাননি গর্ভবতী নারীও। রুবিনা বানু এমনই একজন নারী। দিল্লির চাঁদবাগের বাসিন্দা। তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। রানু বলেছেন, দা'ঙ্গার দ্বিতীয় দিন সোমবার তিনি স্কুল থেকে ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে আসার জন্য বাইরে বের হয়েছিলেন। বাড়ি থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর পুলিশের পুরুষ সদস্যরা ঘিরে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মা'রপি'ট করেন তাকে।

রুবিনা বলেন, বাইরে ঝামে'লা হচ্ছে সে ব্যাপারে আগেই তিনি তথ্য পেয়েছিলেন। এ ঝা'মেলার মাঝে যাতে স্কুলফেরত সন্তান না পড়েন সেজন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পর পুলিশের সদস্যরা হঠাৎ তাকে এলো'পা'তাড়ি মা'রপি'ট শুরু করে। পরে উত্তে'জিত একদল জনতা পথ আ'টকে তাকে হু'মকি-ধা'মকি দেন। মা'রপি'ট থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ ও দা'ঙ্গাবা'জদের কাছে কা'কুতি-মি'নতি করতে থাকেন তিনি। কিন্তু একথা শোনার পরও নি'পী'ড়ন করে।

অনেকেই তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা স্পর্শ করেন বলেও অভিযোগ করেছেন রুবিনা। হা'মলাকারীদের চতু'র্মুখী ছো'বলে বানুর শরীরে অসংখ্য ক্ষ'ত এবং দা'গ তৈরি হয়েছে। আর এটা চলেছে কয়েক ঘণ্টা ধরে। পরে এক হা'মলাকারী যখন দেখতে পান বানুর শরীর থেকে র'ক্ত ঝ'ড়ছে এবং অ'বচে'তন হয়ে পড়েছেন তিনি। তখনই কেবল ক্ষ্যা'ন্ত দেন তারা। ওই অবস্থায় সেখানে তাকে ফেলে রেখে যায়।

পরে অন্য একদল লোক এগিয়ে এসে বানুর পরিবারের কাছে খবর পাঠায়। বানু অ'ভিযো'গ করেছেন, তিনি যখন চেতনা ফিরে পান তখন নিজেকে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর আ'বি'ষ্কার করেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা সেই সময় অ্যাম্বুলেন্সেরও পথ আ'টকে দেয়। আ'গুনে জ্বলতে থাকা দিল্লির সিএসবিসি বোর্ডের পরীক্ষা বা'তিলের দাবি উঠে। দাঙ্গা'বাজরা এতটাই ম'রিয়া হয়ে উঠেন যে, শিশুদের স্কুলগামী বাসও আ'ক্রা'ন্ত হয়। 

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাই'রাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলগামী শিশুদের নিরা'পদে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে মানবঢাল তৈরি করে বাস যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় কিছু মানুষ। গত রোববার রাতে দিল্লি উত্তরপূর্বাঞ্চলের মৌজপুর, জাফরাবাদ, বাবরপুর, ভজনপুরা, যমুনা বিহার ও চাঁদবাগেই মা'রা যান ৩৪ জন। এরমধ্যে দেশটির পুলিশের এক হেড কনস্টেবল ও আইবি অফিসারও রয়েছেন। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে