আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সা'ম্প্রদা'য়িক সহিং'সতায় ঝরছে প্রাণ। এমন পরি'স্থি'তির মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রা'ণ পাঠাল ভারত। মিয়ানমার থেকে বা'স্তুচ্যু'ত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য পঞ্চম দফায় ত্রা'ণ সহায়তা পাঠাল ভারত।
কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার মাঝে কয়েকশ ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ছাড়া বাকি সবাই মুসলমান। বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের হাতে এসব ত্রা'ণ তুলে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ। এ সময় দু'র্যো'গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রা'ণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চম দফায় ত্রা'ণ হিসেবে এক হাজার সেলাই মেশিন, ৩২টি সাধারণ তাঁবু, ১০০টি ফ্যামিলি তাঁবু ও জীবনর'ক্ষাকারী সরঞ্জাম রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় দেয়া প্রতিশ্রু'তি অনুযায়ী এসব ত্রা'ণ সহায়তা দিল ভারত। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের চট্টগ্রামের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ ব্যানার্জি, হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব দীপ্তি আলাংঘাট ও অ্যাটাশে (প্রেস) দেবব্রত পাল প্রমুখ। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শর'ণা'র্থীদের জন্য ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় অপারেশন ইনসানিয়াতের আওতায় ৫৩ টন খাদ্যসামগ্রী পাঠায় ভারত।
মানবিক এ সহযোগিতার স্মারক হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ১০৪ মেট্রিক টন গুঁড়ো দুধ, ১০২ মেট্রিক টন শুঁটকি মাছ, ৬১ মেট্রিক টন শিশুখাদ্য, ৫০ হাজার রেইনকোট এবং ৫০ হাজার গাম বুট পাঠায় ভারত। যা চট্টগ্রামে হস্তান্তর করেন ভারতের তৎকালীন হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তৃতীয় দফায় ১০ লাখ ১০ হাজার লিটার কেরোসিন তেল ও ২০ হাজার স্টোভ পাঠানো হয়। ভারতীয় ত্রা'ণ সহায়তার চতুর্থ চালানে ছিল দুই লাখ ২৫ হাজার কম্বল, দুই লাখ সোয়েটার ও পাঁচশ সৌর সড়কবাতি।