আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরোধীদের সঙ্গে এর সমর্থকদের টানা সংঘ'র্ষের পঞ্চম দিনে এসে গতকাল বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের টহ'ল দিতে দেখা গেছে। বুধবার রাত থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বেশির ভাগ এলাকায় নতুন করে কোনো স'হিং'সতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত কয়েক দিনের সহিং'সতায় মৃ'তের সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃ'তের সংখ্যা ৩৭ জনে পৌঁছেছে। আহ'ত হয়েছে অন্তত ২০০ মানুষ। তাদের অনেকের অবস্থা আশ'ঙ্কাজ'নক বলে মৃ'ত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। জাফরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় থ'মথ'মে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুনরায় হা'মলার আশ'ঙ্কা'য় দিল্লি থেকে আতঙ্কি'ত মানুষ দলে দলে পালাচ্ছে! বিপরীতে অনেক মুসলিমকে প্রতিবেশী হিন্দুরা আশ্রয় দিচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে যেসব হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতাদের বি'দ্বে'ষমূলক বক্তব্যের (হেট স্পিচ) জন্য দিল্লিতে এ সহিং'সতা ছড়িয়েছে, তাদের বিরু'দ্ধে ব্যবস্থা নিতে দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রকে এক মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগের দিন বুধবার সহিং'সতা থামাতে না পারায় পুলিশের সমালোচনা করার পর বিচারপতি এস মুরালিধরকে বদলি করা হয়েছে। ফলে গতকাল নতুন বেঞ্চে শুনানি হয়।
গতকাল সকাল থেকে দিল্লির জাফরাবাদ, গোকুলপুর, কারওয়াল নগর, মৌজপুর, সিলমপুর, চাঁদবাগের মতো উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিং'সা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে চলছে আধাসামরিক বাহনীর টহল। এ ব্যাপারে দিল্লির স্পেশাল কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আমরা এখন মামলা রুজু করছি। শিগগিরই জ'ড়িতদের গ্রেপ্তার করতে কাজ শুরু করব।’ সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার, বর্তমান পত্রিকা।