আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এর জেরে ব্যা'পক স'হিং'সতা ছ'ড়িয়ে পড়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। এরই মধ্যে এই স'হিং'সতায় ৪৬ জনের প্রাণহা'নি ঘ'টেছে।
স'হিং'সতা রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের অধিবেশনে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, পার্লামেন্টের ভেতর-বাইরে আ'ক্রো'শের শি'কার হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতারা।
জানা গেছে, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনই বি'রোধী শি'বিরের আ'ক্র'মণের নি'শা'নায় পরিণত হন অমিত শাহ। দ'ফায় দ'ফায় মু'লতু'বি হয়ে যায় অধিবেশন। অমিত শাহ গতকাল সারা দিনের অধিকাংশ সময় সংসদে নিজের ঘরে কা'টান। একের পর এক বৈঠক করেন। তবে লোকসভা বা রাজ্যসভামুখো হননি।
এদিকে, ব্যাপক প্র'তিবা'দের মুখে পড়ে আপাতত ‘পরে আলোচনার’ কৌশল নিয়েছে শাসক দল। কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, বিএসপিসহ অধিকাংশ বিরোধী দলের তু'মুল হ'ট্টগোলের মুখে রাজ্যসভা মু'লতবি ঘোষণা করা হয়।
লোকসভার অধিবেশনও মু'লতুবি হয়েছে দ'ফায় দ'ফায়। আর লোকসভার বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ‘গান্ধীর তিন বাঁদর’-এর অনুকরণে প্র'তিবা'দে শামিল হন তৃণমূল ও কংগ্রেস সাংসদরা।
সোমবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুর দিনে দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই আলোচনার প্রস্তাব দেন বিরোধীরা। আর দিল্লির এই সংঘ'র্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি তোলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা গোলাম নবি আজাদ।
ব্যা'পক প্র'তিবা'দের মুখে স্পিকার বলেন, ‘বিষয়টি অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচনার যোগ্য। আপাতত আমাদের প্রাধান্যে দেওয়া উচিত স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর বিষয়টিকে। যদি সেটা হয়, তখন আলোচনা করা যাবে।’ এ সময় বিরোধী আইনপ্রণেতারা হই-হট্টগোলের পাশাপাশি ওয়েলে নেমে স্লোগান দিয়ে বি'ক্ষো'ভ শুরু করেন। তবে রাজ্যসভার চেয়েও বেশি বিশৃ'ঙ্খ'লা হয়েছে লোকসভায়। অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করে তুমুল হ'ট্টগোল শুরু করেন বি'রো'ধীরা। লোকসভার স্পিকারও জানিয়ে দেন, ‘অবস্থার উন্নতির জন্য আমরা অপেক্ষা করবো। তার পর আলোচনার অনুমোদন দেবো।’তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার