আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের গলসিতে পেটের য'ন্ত্র'ণায় কাতর বৃদ্ধার আ'র্তনা'দ শু'নে তার চিকিত্সার জন্য এগিয়ে এলেন প্রতিবেশীরা। গলসির পুরসা মুসলমানপ্রধান গ্রাম। হাতে গোনা কয়েক ঘর হিন্দুর বাস। এক মুসলমান ব্যক্তির বাড়ির এক পাশে বাস করেন হিন্দু বিধবা নেবি কর্মকার। তার চিত্কার শুনে এসে সম'স্যার কথা জেনে অ'পারে'শনের ব্যবস্থা করেন প্রতিবেশী মুসলমান যুবকরা।
দীর্ঘদিন ধরে পেটের য'ন্ত্র'ণায় ভু'গছিলেন নেবি কর্মকার। কয়েক বার নিজে উদ্যোগী হয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সা করিয়েছেন। তবে রোগ নি'রা'ময়ের জন্য প্রয়োজন অপারেশন করানো, এজন্য টাকা দরকার। সেই সংস্থান নেই তার পরিবারের। বৃদ্ধার একমাত্র ছেলে রাজু কর্মকার এখন নব্বই শতাংশ শারী'রিক প্র'তিব'ন্ধী। ছেলের স্ত্রী কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন, ঘরের সব কাজও তাকেই করতে হয়। সঞ্চয় বলতে কিছুই নেই।
এই অবস্থায় অ'পারে'শনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছিল না। মঙ্গলবার তার আ'র্তনা'দ শু'নতে পান পুরসা গ্রামের লালন শেখ। তিনি ও তার কয়েকজন বন্ধু ওই বৃদ্ধাকে চিকিত্সা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যান। অ'পারে'শনের পরে ওষুধ ও অন্যান্য খরচ বহন করার আশ্বাস দিয়েছেন লালন ও তার বন্ধুরা। দিল্লিতে যখন সা'ম্প্রদা'য়িক স'ম'স্যা তৈরি হয়েছে তখন সম্প্রীতি বা সহি'ষ্ণুতা নয়, মানবতার ন'জির দেখা গেল বর্ধমানের এই গ্রামে।