শনিবার, ০৭ মার্চ, ২০২০, ০৫:৫৪:৫৮

'শি'রশ্ছে'দ' হতে পারে আটক তিন সৌদি যুবরাজের!

'শি'রশ্ছে'দ' হতে পারে আটক তিন সৌদি যুবরাজের!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি বাদশাহ সালমানের ভাই ও ভাতিজাসহ তিন প্রিন্সকে আ'টক করা হয়েছে। অভ্যু'ত্থা'ন চেষ্টার অ'ভিযো'গে তাদেরকে আ'টক করেছে সৌদি সরকার। শুক্রবার ভোরেই তাদের আ'টক করেন কালো পোশাক পরা নি'রাপ'ত্তা বাহিনীর সদস্যরা। 

আ'টক তিন প্রিন্স হলেন বাদশাহ সালমানের ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ, ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও প্রিন্স নাওয়াফ বিন নায়েফ। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে দাবি করা হয়, রাজকীয় আদালত তাদের বি'রু'দ্ধে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সিংহাসনচ্যু'ত করার ষ'ড়য'ন্ত্রের অ'ভিযো'গ এনেছে। এতে তাদের যা'বজ্জী'বন কারাদ'ণ্ড এমনকি শি'রশ্ছে'দও হতে পারে।

যুবরাজ সালমানের নিজের সিংহাসনে আরোহনের ক্ষেত্রে কোনো প্র'তিদ্ব'ন্দ্বী না রাখতেই এই আ'টক অভিযান বলে ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে। প্রিন্স আহমেদ ও বিন নায়েফের বি'রু'দ্ধে রা'ষ্ট্রদ্রো'হের অ'ভিযো'গ আনা হয়েছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন বিন নায়েফ। তার ছোট ভাই নওয়াফ বিন নায়েফকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

ক্ষ'মতা সুসংহ'ত করতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ধ'রপা'কড় অ'ভিযা'নে সর্বশেষ আ'টক হলেন আহমেদ ও বিন নায়েফ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক র‌্যান্ড কর্পোরেশনের নীতিবিশ্লেষক বেকা ওয়াসের ব্লুমবার্গকে বলেন, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। তার উ'ত্থানের ক্ষেত্রে সব হু'মকি ইতিমধ্যে তিনি সরিয়ে দিয়েছেন। পা'ল্টা প্র'তিক্রি'য়া ছাড়াই তার স'মালো'চকদের হ'ত্যা করছেন।

এ'কের পর এক মিসা'ইল গিয়ে আ'ঘা'ত হা'নছে পাকিস্তানের ঘাঁ'টিতে, প্রকা'শ্যে ভি'ডিও

আল-জাজিরার সাংবাদিক জামাল এলশায়াল বলেন, সৌদি রাজপরিবারের দুই জ্যেষ্ঠ সদস্যের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কী কারণে যে এই গ্রেফতার, তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। আর এ বিষয়ে কিছু বলা অপ্রয়োজনীয়। কারণ সেখানে স্বচ্ছতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই।

তিনি বলেন, যে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সৌদির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অন্যতম। দীর্ঘ সময় তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। কাজেই অভ্যু'ত্থান চেষ্টার যে অ'ভিযো'গ তাদের বি'রু'দ্ধে আনা হয়েছে, তা খুবই অসম্ভব ও ক'ঠিন। তারা আগে থেকেই মা'রা'ত্ম'ক বি'ধিনি'ষেধের মধ্যে রয়েছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এর একটি সম্ভাব্য মতলব হতে পারে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের বয়স। তিনি এখন ৮৪ বছরে রয়েছেন। বাবার মৃত্যু কিংবা সিংহাসন ত্যা'গের আগে সম্ভাব্য প্র'তিদ্ব'ন্দ্বীদের আ'টকে রাখতে চাচ্ছেন উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান। রাজপরিবারে প্রিন্স আহমেদ বিশেষ মর্যাদা বহন করেন। কারণ বাদশাহ সালমানের একমাত্র জীবিত আপন ভাই তিনি।

ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আগামী মাসে পৃথিবী ধ্বং'স হতে পারে: নাসা

আর বাদশাহ আবদুল আজিজের জীবত সন্তানদের মধ্যে একজন তিনি। কাজেই শা'সক পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে তার ব্যাপক কদর রয়েছে। এর আগে নিজের ভাইকে সিংহাসনের উত্তরসূরি মনোনয়ন দিতেন সৌদি শাসকরা। কিন্তু বাদশাহ সালমান প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে নিজের ছেলেকে এই পদে বসান। ২০১৮ সালে লন্ডনে বি'ক্ষো'ভকারীদের মু'খোমু'খি হওয়ার সময় সৌদি আরবের বর্তমান নীতির স'মালো'চনা করার পর থেকে প্রিন্স আহমেদকে প্র'তিদ্ব'ন্দ্বী হিসেবে ভাবতে শুরু করেন যুবরাজ।

বি'ক্ষো'ভকারীরা তখন ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হা'মলার বি'রু'দ্ধে স্লো'গা'ন দিচ্ছিলেন। কাজেই প্রতিবেশী দেশটিতে মানবিক সং'ক'টের দা'য় নেয়ার ক্ষেত্রে বাকি রাজপরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন প্রিন্স আহমেদ। এক ভিডিওতে রাজপরিবারের নাম নিয়ে তাকে বলতে শোনা গেছে, আল-সৌদে এসব কি হচ্ছে? এসবের জন্য বাদশাহ ও তার সন্তানই দা'য়ী। 

এরপরে ইন্টারনেটে ক্ষু'ব্ধ সৌদিরা প্রিন্স আহমেদের আনুগত্য মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু দ্রুতই এটা পরিষ্কার হয় যে সিংহাসনের উত্তরসূরি হওয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই। একটি বিবৃতি ইস্যু করে তিনি বলেন, তার মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। রাজপরিবারের যেসব সদস্যদের অবা'ধ্য হিসেবে বিবেচনা করছেন যুবরাজ, তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, প্রিন্স আহমেদের ক্ষেত্রে প্রথমে তেমনটি ঘটতে দেখা যায়নি। 

কোনও দিকে তাকাবেন না, বিজেপিকে ধরে গরু পেটানোর মতো পেটান : অনুব্রত মন্ডল

তিনি অনেকটা স্বাধীনভাবেই দেশে ফিরে আসা ও চলাচলের সুযোগ পান। বুধবার তিনি অবকাশ থেকে ফিরে আসেন এবং পরের দিনেই গ্রেফতার হন। ক্ষ'মতাসীন আল-সৌদ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে গঠিত হাইয়াতুল বাইয়ার তিন সদস্যের একজন তিনি। ২০১৭ সালে মোহাম্মদ বিন সালমানকে যখন সিংহাসনের উত্তরসূরি করা হয়, তখন প্রিন্স আহমেদ তার বিরো'ধিতা করেন।

প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ ছিলেন সাবেক যুবরাজ। ক্ষ'মতাচ্যু'ত হওয়ার পর থেকে তার চলাচলে বি'ধিনিষে'ধ আ'রোপ করা হয়। তাকে মোহাম্মদ বিন সালমানের সবচেয়ে বড় প্র'তিদ্ব'ন্দ্বী হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে আসছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে তিনি দেশের তিন স'শ'স্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেছেন। যার মধ্যে সেনাবাহিনী ও ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীও রয়েছে। 

কাজেই ক্ষ'মতার ল'ড়াইয়ে তিনি তাৎপর্যপূর্ণ সুবিধা পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ। মার্কিন গোয়ে'ন্দা বাহিনীর সঙ্গে তার বেশ জানাশোনা আছে। রাজপরিবারের মধ্যে যেটাকে সম্পদ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।২০১৭ সালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কেবল তাকে ক্ষম'তাচ্যু'তই করেননি, ব্যা'পক অ'পমা'ন ও লা'ঞ্ছ'নাও দিয়েছেন। 

নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বর্তমান যুবরাজের সহযোগীরা তাকে শারীরিকভাবে জব'রদ'স্তি করেছেন। তাকে দীর্ঘ সময় আ'টক রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসাব'ঞ্চিত করা হয়েছে। বিন নায়েফের সম্পদ জ'ব্দ করা হয়। আর সামাজিক মাধ্যমে তার বি'রু'দ্ধে প্রচার চালানো হয়, তিনি ব্য'থানাশকে আসক্ত। তার ক্ষ'মতা কেড়ে নেয়া হয় এবং স্বাধীন চলাচল ব'ন্ধ করা হয়। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালো উর্দি ও মাস্ক পরা লোকজন রিয়াদে তার ডেজার্ট ক্যাম্পে আসেন এবং তাকে ও তার ছোটভাইকে তুলে নিয়ে যান। এসময় তার বাড়িঘর ত'ল্লা'শি ও যোগাযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। রাজপরিবারের অবাধ্য সদস্যদের গ্রেফতার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নিত্য অভ্যাস। মূলত ক্ষ'মতা সু'সংহ'ত করতেই তিনি এই ধ'রপা'কড় চালাচ্ছেন বলে স'মালো'চকদের দাবি। সূত্র- নিউইয়র্ক টাইমস, আল-জাজিরা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে