শনিবার, ০৭ মার্চ, ২০২০, ১০:৪১:১৭

অ্যামাজন থেকে হা'মলার বি'স্ফো'রক তৈরির সরঞ্জাম কিনেছিল জ'ঙ্গিরা!

অ্যামাজন থেকে হা'মলার বি'স্ফো'রক তৈরির সরঞ্জাম কিনেছিল জ'ঙ্গিরা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অনলাইন শপিং সাইটগুলিতে কী না মেলে? এমনকি, বি'স্ফো'রক তৈরির সরঞ্জাম, রাসা'য়নিকও! ভারতের কাশ্মিরে পুলওয়ামা হা'মলায় আরও দু'জনকে গ্রে'ফতার করার পর সামনে এল এমনই ভ'য়'ঙ্ক'র তথ্য। পুলওয়ামার মতো ভ'য়'ঙ্কর জ'ঙ্গি হা'নায় জুড়ে গেল শপিং সাইট ''অ্যামাজন''-এর নাম। ধৃ'তদের এক জন অ্যামাজন থেকেই বি'স্ফো'রক তৈরির সরঞ্জাম ও রাসা'য়নিক কিনেছিল। 

জিজ্ঞা'সাবা'দে ধৃ'তদের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর ক'নভ'য়ে জ'ঙ্গি হা'নায় মৃ'ত্যু হয় ৪০ জনের। ওই হা'মলায় জড়িত স'ন্দে'হে শুক্রবার শ্রীনগর থেকে ওয়েজুল ইসলাম (১৯) এবং পুলওয়ামা থেকে মোহাম্মদ আব্বাস রাদার (৩২) নামে দু'জনকে গ্রে'ফতার করেছে এনআইএ। পুলওয়ামা হা'মলার সঙ্গে এই দু'জনের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ।

দু'জনেরই পাক জ'ঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ ছিল। ওয়েজুলের সঙ্গে পুলওয়ামা হা'মলার কিছু দিন আগে যোগাযোগ হলেও মোহাম্মদ আব্বাস জইশের পুরনো সদস্য। এদের মধ্যে ওয়েজুল ইসলাম অ্যামাজন থেকে বি'স্ফো'রক তৈরির সর'ঞ্জাম কিনেছিল বলে জানিয়েছে এনআইএ-র গোয়ে'ন্দারা। 

এক তদ'ন্তকারী বলেন, ''প্রাথমিক জি'জ্ঞা'সাবাদে ওয়েজুল স্বী'কার করেছে ইম্প্রো'ভাই'জড এ'ক্সপ্লো'সিভ ডি'ভাইস (আইইডি), ব্যাটারি, অন্যান্য সর'ঞ্জাম ও রা'সায়'নিক কিনেছিল অ্যামাজন থেকে। জইশ জ'ঙ্গিদের নির্দে'শমতো এই সব সর'ঞ্জাম কিনতে ব্যবহার করেছিল নিজের আইডি-পাসওয়ার্ড।'' পুলওয়ামা হা'মলার পরিক'ল্পনার অংশীদার হিসাবে ওয়েজুল নিজেই সেই সব সরঞ্জাম জ'ঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল বলেও জানিয়েছে সে। 

তদ'ন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ফরেনসিক ত'দ'ন্তে প্রমাণ হয়েছে, বি'স্ফো'রণের জন্য ব্যবহার করা হয়ছিল অ্যমো'নিয়াম না'ইট্রেট, না'ইট্রো গ্লি'সারিন এবং আর'ডি'এক্স। ওই অফিসার বলেন, ''আব্বাস দীর্ঘ দিন ধ'রেই জইশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। জি'জ্ঞাসা'বাদে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে নাগাদ বি'স্ফো'রক বি'শা'রদ জইশ জ'ঙ্গি কাশ্মীরে এসেছিল।''

''আব্বাসই তাকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল। এ ছাড়া পুলওয়ামা হা'মলার আগে নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছিল আ'ত্মঘা'তী হা'মলাকারী জইশ জ'ঙ্গি আদিল আহমেদ দার, সমির আহমেদ দার ও কামরানকে। এদের মধ্যে কামরান পাকিস্তানের নাগরিক।'' গত ৩ মার্চ বন্দিপুরা থেকে পুলওয়ামা হা'মলায় জড়িত স'ন্দে'হে হা'করিপো'রা থেকে তারিক আহমেদ শাহ ও তার মেয়ে ইনশা জানকে গ্রে'ফতার করে এনআইএ। 

তাদের বি'রু'দ্ধে জ'ঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া ও সাহায্য করার অ'ভিযো'গ রয়েছে। গোয়ে'ন্দারা জানিয়েছেন, জিজ্ঞা'সাবাদে আব্বাস স্বী'কার করেছেন, নিজের বাড়ি ছাড়াও তারিক আহমেদ শাহের বাড়িতে জ'ঙ্গিদের থাকার বন্দো'বস্তও তিনি করেছিলেন। আদিলই যে পুলওয়ামা হা'মলায় আ'ত্মঘা'তী বি'স্ফো'রণ ঘটিয়েছিল, ডিএনএ পরীক্ষায় ইতিধ্যেই সেটা প্রমাণ হয়েছে। পুলওয়ামা হা'মলার পর আদিলের শেষ ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান থেকে।

তারিক আহমেদ শাহকে গ্রে'ফতারের পর এনআইএ-র গোয়ে'ন্দারা এক প্রকার নিশ্চিত, এই তারিক আহমেদ শাহের বাড়িতেই রেকর্ড করা হয়েছিল আদিলের শেষ ভিডিও। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শাকির বসির মাগরে নামে পুলওয়ামা থেকে এক কাঠের ব্যবসায়ীকে গ্রে'ফতার করে এনআইএ। শাকিরের বি'রু'দ্ধে আদিলকে আশ্রয় দেওয়া এবং নানা ভাবে সাহায্য করার অ'ভিযো'গ রয়েছে। তার পর থেকেই পরপর গ্রে'ফতার এবং পুলওয়ামা ত'দ'ন্তে নতুন করে গতি এসেছে। সূত্র : আনন্দবাজার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে