আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শনা'ক্ত করা গিয়েছে মে'রে কেটে মাস তিনেক। এরই মধ্যে সেই আণুবী'ক্ষণিক ভিলেন ৩৮০ বার নিজের জিন বদলে ফেলেছে। বিশেষ'জ্ঞরা জিন মিউটে'শনই ভিলেন। যার জেরে নভেল করোনা ভাইরাসের এই প্রকার কোভিড-১৯ বিশ্বের তা'বড় বিজ্ঞানীদের ঘুম কে'ড়ে নিয়েছে। আত'ঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আমজনতার মধ্যে।
মাঝেই মাঝেই শোনা যাচ্ছে এবারে এই ভাইরাসকে জ'ব্দ করা যাবে ভ্যাকসিন দিয়ে। কিন্তু প্রতিষে'ধক কতটা কাজের কাজ করতে পারবে সেই নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরাও ধ'ন্ধে পড়েছেন। হিউম্যান প্যাথোজেনিক ভাইরাসের সংক্র'মণজনিত গবেষক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এত কম সময়ের মধ্যে ঘন ঘন জিন মিউটেশন করে নিজের চরিত্র বদলে ফেলছে এই ভাইরাস। তাই একে রু'খতে সুনির্দিষ্ট কোনও ওষুধ ব্যবহার করা মুশ'কিল।
প্রায় দু'দশক ধ'রে করোনা গোত্রেরই ভাইরাস নিয়ে চিকিৎসকরা চি'ন্তিত। চিনের উহান থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই কোভিড-১৯ ভাইরাসের ১৮ বছর আগে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্সও ঘুম কেড়ে নিয়েছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের। এই রো'গাক্রা'ন্তদের মধ্যে মা'রা পড়তেন প্রায় ১০ শতাংশ। মার্স বা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমও ২০১২ সালে ব্যা'পক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।
তখন দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি করে তার সাহায্যে রোগের বা'ড়বা'ড়ন্ত আ'টকে দেওয়া হয়। কোভিড-১৯ সেই গোত্রেরই জীবাণু। তবে আগের ভাইরাসদের থেকে এর কিছু চরিত্রগত তফাত আছে। তাই প্রতিষে'ধক নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললেও কোনও কার্যকর ভ্যাকসিন বা ওষুধ বানানো মুশ'কিল হয়ে পড়ছে। গবেষকরা এখন হোস্ট ডিরেক্টেড থেরাপির কথা ভাবছেন।
আরও পড়ুন : করোনায় আক্রা'ন্ত হলে মানুষ কখন মা'রা যায়? চলুন জেনে নেয়া যাক-
ব্যাপারটা হল, মানুষের জিনের যে প্রোটিনের উপর কোভিড-১৯ ভাইরাস বেড়ে ওঠে, তাকে নি'ষ্ক্রি'য় করে দেওয়া। তাদের ধারণা, তা হলেই হয়তো এই ভাইরাসের খেল খ'ত'ম হবে। নভেল করোনা ভাইরাসের চরিত্রগত বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যই গবেষকরা বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেছেন।
কোভিড-১৯ ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে, শরীরে রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষ'মতা ক্রমেই বাড়িয়ে চললে শিশুদের বিশেষ কোনও ক্ষ'তি করতে পারে না। এই ভাইরাসের কবলে পড়লেও শিশুরা ক্র'মশ সুস্থ হয়ে ওঠে। শিশুদের তুলনামূলক ভাবে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখা হলে সং'ক্রমণের ঘটনাও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মহিলারাও কোভিড-১৯ ভাইরাসের থাবা থেকে কিছুটা নিরাপদ। এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, মেয়েদের মধ্যে অটোইমিউন ডিজিজের (শ্বেতী, এসএলই, থাইরয়েড ইত্যাদি) প্রব'ণতা বেশি হওয়ায় কোভিড-১৯ এর বিরু'দ্ধে যু'দ্ধে তারা বেশির ভাগ সময়ই জিতে যান। শরীর কোনও না কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি করে ফেলে। তাই আ'ক্রা'ন্ত মেয়েদের মৃ'ত্যুহার অনেক কম।
ধূমপায়ী পুরুষদের মধ্যে এই অসুখের মা'রা'ত্মক প্রভা'ব লক্ষ্য করা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে, ধূমপানের ফলে শ্বা'সনালী ও ফুস'ফুসের লাইনিং কিছুটা দুর্বলতা থাকে। তাই কোভিড-১৯ ভাই'রাস এদের শ্বা'সনালী ও ফুস'ফুসকে আ'ক্রমণ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কোভিড-১৯ আ'ক্রা'ন্ত অশী'তিপর বয়স্কদের মৃ'ত্যুহার সব থেকে বেশি। কারণ এদের শরীরে রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষ'মতা কম হয়।
আরও পড়ুন : এবার করোনার থা'বা ব্রিটিশ সরকারে, আক্রা'ন্ত খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেডাইন ডরিস
কোভিড-১৯ ভাই'রাসের বড়সড় সং'ক্রমণে শুধুই যে শ্বা'সনালী ও ফুস'ফুস আ'ক্রা'ন্ত হয় তা নয়, ইন্টেস্টাইনের আবরণ একেবারে ন'ষ্ট করে দেয়। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ হু হু করে কমে যেতে শুরু করে। ক্রম'শ মাল্টি অর'গ্যান ফেলিওরের দিকে এগোয়। কিছু কিছু অ্যা'ন্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা হলেও খুব যে কার্যকর তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
অনেকেরই ধারণা, গরম পড়লে কোভিড-১৯ ভাইরাসের দা'পট কমবে। কিন্তু এই ভাইরাসের জিন মিউটেশনের ধরন দেখে এখনই এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। এর হাত থেকে বাঁচতে ন্যুনতম ২০ সেকেন্ড ধ'রে সাবান দিয়ে র'গড়ে হাত ধুতেই হবে। হাত ধুলে এনভেলপ ফ্লু জাতীয় কোভিড-১৯ ভাই'রাসকে নি'শ্চিহ্ন করা সম্ভব। জল না থাকলে ৬০–৭০ শতাংশ ইথাইল অ্যালকোহল-যুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে ভাল করে হাত পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। সূত্র : আনন্দবাজার